নুসরাত হত্যা মামলার আসামি মকসুদকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

ছবি সংগৃহীত

নুসরাত হত্যা মামলার আসামি মকসুদকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মকসুদুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টায় মকসুদুল আলমকে ঢাকা ও তার সহযোগীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

নুসরাতের ভাই নোমানের দায়ের করা মামলার নামীয় আসামিরা হলেন অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদের পাঁচদিন করে রিমান্ড চলছে।

নুর উদ্দিনকে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদরাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের।

 

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।  

পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর