উসমানি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা উসমানের পুরো জীবনই ছিল আল্লাহর পথে দাওয়াত এবং জিহাদের জন্য নিবেদিত। ধর্মীয় আলেমরা আমিরকে ঘিরে রাখতেন এবং তাকে তার প্রশাসনিক রূপরেখা এবং শরয়ি হুকুম অনুযায়ী রাজত্ব চালানোর জন্য সম্মান করতেন। মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে উসমান তাঁর ছেলে উরখান/উরহানকে যে অসিয়ত করেছিলেন তা ইতিহাস আমাদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছে। তার এই অসিয়ত ছিল একটি নির্দেশনা এবং পথচলার পাথেয়। পরবর্তী উসমানি শাসকরাও তা মেনে চলেছেন। তিনি তাঁর অসিয়তে বলেছিলেন প্রিয় সন্তান আমার, আল্লাহ তোমাকে যে কাজের আদেশ করেননি তা করা থেকে তুমি বিরত থাকবে। শাসনকার্যের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে উলামায়ে কেরামের পরামর্শকে আশ্রয়স্থল হিসেবে গ্রহণ করবে। প্রিয় সন্তান, তোমার অধীনদের যথাবিহীত সম্মান করবে। সৈন্যদলের প্রতি অনুগ্রহ করবে। তোমার সৈন্য ও সমপদের মাধ্যমে...
উসমানীয় শাসকরা যে নীতি অনুসরণ করতেন
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

জরথুস্ত্র ধর্মের শিক্ষা
উম্মে আহমাদ ফারজানা

জরথুস্ত্র ৪০ বছর বয়সে দ্বৈববাণী বা প্রত্যাদেশ লাভ করেন বলে নিজেই দাবি করেন। (আল-শাহরাস্তানি, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৭) কিন্তু তাঁর এ দাবি কতদূর সত্য তা বলা মুশকিল। কেউ কেউ বলেন, ২০ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছেড়ে এক পর্বত গুহায় সাত বছর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। এ ধ্যান-মগ্নতার মধ্য দিয়ে তিনি ঈশ্বর আহুরামাজদার প্রকৃতি অনুধাবনে নিজকে আলোকিত করে তোলেন। এক সত্য সুন্দর জ্ঞানদানের মাধ্যমে তিনি জনসাধারণকে ঈশ্বরের পথে চলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। এভাবে জরথুস্ত্রের প্রচারিত মতবাদটি ধীরে ধীরে তত্কালীন জনসমাজে ব্যাপকতা লাভ করে। কাল-পরিক্রমায় ধর্মটি পারস্যে সাসানীদের আমলে রাষ্ট্রধর্মের রূপ পরিগ্রহ করে। অন্যান্য ধর্মের মত এ ধর্মেরও অনেক নৈতিক শিক্ষা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা হলো নিম্নরূপ : চরিত্রগত শিক্ষা : জরথুস্ত্রের মতে, চরিত্র হলো মানুষের...
বৃষ্টির সময় নবীজি (সা.) যে ৫ আমল করতেন
মাইমুনা আক্তার

বৃষ্টি নিছক একটি প্রাকৃতিক ঘটনার নাম নয়। নয় কোনো মেঘমালার অশ্রু বিসর্জন। এটি মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতের বারতা। এর মাধ্যমে তিনি খরায় কাঠ হয়ে যাওয়া মাটিকে আবার উর্বর করে তোলেন। মাটির বুকে ফুটিয়ে তোলেন শস্যের হাসি। ব্যবস্থা করেন মানবজাতিসহ অন্যান্য প্রাণীকুলের রিজিকের। তাইতো মহান আল্লাহ বৃষ্টির পানিকে বরকত পানি বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি নাজিল করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উত্পন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা। (সুরা : কাফ, আয়াত : ৯) বৃষ্টির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। এটা আমার কথা নয়, মহান আল্লাহ নিজেই বলেছেন, মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা, আয়াত : ২৮) তাই মুমিনের উচিত বৃষ্টি এলেই মহান...
বৃষ্টি ঝরতে দেখলে যে ছোট দোয়াটি পড়বেন
অনলাইন ডেস্ক

বৃষ্টি মহান আল্লাহর অনন্য এক নেয়ামত ও রহমত। বৃষ্টিতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় ও ফসল ফলে, তীব্র গরমে মানুষ ও প্রাণীকুল স্বস্তি লাভ করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা: ২৮) নবিজি (সা.) বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত বলে অভিহিত করতেন। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন বৃষ্টি দেখতেন, তখন বলতেন, এ তো আল্লাহর রহমত। (সহিহ মুসলিম: ১৯৫৭) বৃষ্টি দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন, اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআন অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি এ বৃষ্টিকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর