নুসরাতের নামে হলো ফাউন্ডেশন

‘নুসরাত জাহান রাফি স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে

নুসরাতের নামে হলো ফাউন্ডেশন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নুসরাত জাহান রাফির স্মৃতি ধরে রাখতে ‘নুসরাত জাহান রাফি স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র যাত্রা শুরু করা হয়েছে। রাফির পরিবারের উদ্যোগে রোববার বিকেলে সোনাগাজী প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ আবদুল হান্নানের সঞ্চালনায় ও শিক্ষানুরাগী কামরুল হোসেন টিপুর সভাপতিত্বে এ ফাউন্ডেশনেরে আত্মপ্রকাশ হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে বক্তব্য দেন- নুসরাত জাহান রাফির বাবা মাওলানা এ কে এম মুছা মিয়া, মাহতাবুর রশীদ, মোস্তাক আহমেদ সেলিম ও হাজী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

রাফির বাবা বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটনে প্রধানমন্ত্রী ও গণমাধ্যম যে আন্তরিক ভূমিকা রেখেছেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

ভবিষ্যতে এ ফাউন্ডেশন অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে সচেষ্ট থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কে বা কারা মারধর করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ওই ভবনের তৃতীয় তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এনে ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক সাতজন।

‘গায়ে আগুন দেওয়ার আগে তারা টয়লেটে লুকিয়ে ছিল’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর