দুই থানার রেষারেষিতে বিচার পাচ্ছে না ধর্ষিতা

গণধর্ষণ

দুই থানার রেষারেষিতে বিচার পাচ্ছে না ধর্ষিতা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

চট্টগ্রামে এক কিশোরী পোশাককর্মী ধর্ষণের শিকার হওয়ার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারণে এখনও মামলা নেওয়া হয়নি। রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরীকে রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন।

 তবে ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বরং দুই থানার মধ্যে চলছে রশি টানাটানি।              

জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। পটিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় সে চাকরি করে।

কিশোরীর স্বজনরা বলছেন, তার অবস্থা গতকালের তুলনায় এখন ভালো।    

পটিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ওরা দুজনের বাড়ি পটিয়া থানায় হলেও ঘটনা ঘটছে কর্ণফুলী থানা এলাকায়। তাই মামলা হবে কর্ণফুলী থানায়।

এদিকে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলছেন, এটি কর্ণফুলী থানার ঘটনা নয়।

কিশোরীর স্বজনদের বরাত দিয়ে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বলেন, ‘কারখানার গাড়িচালক রিপনের সঙ্গে কিশোরীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পহেলা বৈশাখে কারখানা ছুটি থাকায় দুজন বেড়াতে বের হন। রিপন মেয়েটিকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলের নাম-ঠিকানা কিছুই মেয়েটি জানাতে পারেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, পটিয়া শহরের আশেপাশের কোনো হোটেল হতে পারে। সেখানে কিশোরীকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে।

‌‌‌‌‘একজন অটোরিকশা চালক মেয়েটিকে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেয়েটি অজ্ঞান অবস্থায় ছিল’, বলেন পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর