মাদ্রাসাছাত্রীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে নির্যাতন

মাদ্রাসাছাত্রীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বরিশাল নগরীর আশরাফুন্নেছা হাফেজী মাদ্রাসার আয়েশা সিদ্দিকা (১৪) নামে এক ছাত্রী শিক্ষকের প্রহরে আহত হয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক সানজিদা ও আয়া নাজমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আয়শা রূপাতলী এলাকার হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

ছাত্রীর মা নিলুফার আক্তার জানান, ওই মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি হেফজ শেষ করে আয়শা। এ কারণে সে বাসায় অবস্থান করছিল। গত শুক্রবার মাদ্রাসার আয়া নাজমা তাকে (আয়শা) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

মাদ্রাসায় যাওয়ার পর আয়শাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরদিন শনিবার বিকেলের দিকে আয়শাকে শিক্ষিকা সানজিদা ওই ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে নিয়ে তারা বেত দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে আয়শা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে আয়শাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করে।

নিলুফা আরও জানান, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ফারজানা ও শাহানাজ ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা বানাতে বলে ছাত্রীদের। এ কারণে সেখানকার ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়। এদের মধ্যে লিজা, যুথি ও তাহিয়া ঘুমের ওষুধ এনে তাদের চায়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মেয়েরা তাদের দোষ ঢাকতে তার মেয়ের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এ কারণে তার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের নির্দেশে এভাবে নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীর মা বাদী হয় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদের গত রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর