ইসলামের সংযমই সবচেয়ে বড় সংযম। ইসলাম সংযমের ধর্ম। ইসলামে সংযমের ধারণা এত বিস্তৃত যে, এই ফরজ রোজার মতো ইসলাম দুই ঈদের সময়ও আত্মসংযমের কথা বলে। যারা ইসলামের এই সংযমের ধারণা অন্তরে লালন করতে পারবে তাদেরকেই আল্লাহ পরকালে জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করবেন। মুমিনের জীবনে সংযমের সূচনা হয় জন্মের পরই এবং শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে। সাধারণত রোজার ব্যাপারে আমাদের যা দেখি তা হলো, যে ব্যক্তি মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয় এবং শৈশবেই ঈমান গ্রহণ করে সে সাবলক হওয়ার পর রোজা শুরু করে। আর যে ব্যক্তি জন্মগত মুসলিম নয়, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে সে রোজা রাখে। রমজানের ফরজ রোজাসহ অন্যান্য রোজা সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত পালন করতে হয়। আর ইসলামের সর্বব্যাপী সংযম শেষ হয় জীবনসূর্য ডোবার পর। ফরজ ও নফল রোজার ইফতার করা হয় উত্তম পানীয় ও খাবার দ্বারা। মানুষ ইফতারের সময় এত সুস্বাদু ও লোভাল...
ইসলামে সার্বজনীন সংযমের শিক্ষা
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

হজরত সফওয়ান (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
মাইমুনা আক্তার

সফওয়ান (রা.) ছিলেন জাহিলী যুগে কুরাইশ-নেতাদের অন্যতম। বিশুদ্ধভাষী ও সাহিত্যিক। উদার মনের ব্যক্তি। জনসেবক ও আতিথ্যপরায়ণ। কথিত আছে যে, সফওয়ান, তাঁর পিতা উমাইয়া ও দাদা খালাফ এবং তাঁর পুত্র আব্দুল্লাহ ও নাতি আমর―এই পাঁচজনের সবাই মেহমানদারিতে ছিলেন সুখ্যাত। আরবসমাজে এ ধরনের আরেকটি পরিবার পাওয়া যায় না, যাতে পরপর পাঁচ ব্যক্তির জীবনে মেহমানদারির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে খাযরাজ-নেতা সাদ ইবনে উবাদাহ (রা.)-এর বংশেও এমন চার ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁরা হলেন, কাইস (রা.) ইবনে সাদ (রা.) ইবনে উবাদাহ ইবনে দুলাইম। অর্থাত্ সাদ (রা.) নিজে এবং তাঁর বাপ, দাদা ও পুত্র। (আল-ইসতিআব : ২/৭২১পৃ., ক্র.১২১৪) ইসলামগ্রহণ ও তার পটভূমি সফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রা.) হুনাইন যুদ্ধের পর ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কাবিজয়ের সময় প্রথমে তিনি পালিয়ে যান। পরে তাঁর বন্ধু উমাইর ইবনে ওয়াহব আল-জুমাহির মাধ্যমে রাসুল (সা.) থেকে...
শাবান মাস শেষে নবীজি (সা.)-এর খুতবা
আসআদ শাহীন

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে রমজান মাসের ছিল অসীম গুরুত্ব। তিনি কয়েক মাস আগ থেকেই এ মাসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। যখন রজব মাস শুরু হতো, তখনই তাঁর অন্তরে রমজানের জন্য গভীর আগ্রহ জেগে উঠত। তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করতেন: হে আল্লাহ! আমাদের রমজান পর্যন্ত জীবিত রেখো। (আদ-দুআ লিত তাবরানি, পৃষ্ঠা: ২৮৪, হাদিস : ৯১২) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন রজব মাস আসত, তখন রাসুল (সা.) এ দোয়া পড়তেন : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করো এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। (তাবরানি ফিল আওসাত, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা: ৩৪০, হাদিস : ৪৭৭৪) রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের হিসাব এতো গুরুত্ব সহকারে রাখতেন যে অন্য কোন মাসের হিসাব ততোটা গুরুত্ব দিয়ে রাখতেন না। অতঃপর তিনি রমজানের চাঁদ দেখেই রোজা পালন করতেন। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তিনি শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা...
তাকওয়া ও সৌভাগ্যের মাস রমজান
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

তাকওয়া ও সৌভাগ্যের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এটি রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসের রোজা মহান আল্লাহর দেওয়া অমূল্য নিয়ামতগুলোর একটি। পবিত্র কোরআনে রোজাকে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম বলে ইঙ্গিক করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) উল্লিখিত আয়াতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, তাকওয়া বা পরহেজগারির শক্তি অর্জন করার ব্যাপারে রোজার একটা বিশেষ ভূমিকা বিদ্যমান। কেননা রোজার মাধ্যমে প্রবৃত্তির তাড়না নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে বিশেষ শক্তি অর্জিত হয়। প্রকৃত প্রস্তাবে সেটাই তাকওয়া বা পরহেজগারীর ভিত্তি। তাই রোজাদার সব ধরনের নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। শুধু পানাহার ত্যাগকেই রোজা বলা হয় না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর