মোবাইলে প্রেম, দুই বোনকে ধর্ষণ করল তিন বন্ধু

ধর্ষণ

মোবাইলে প্রেম, দুই বোনকে ধর্ষণ করল তিন বন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে আদিবাসী স্কুলছাত্রী ও তার ছোটবোন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে লজ্জায় আত্মহত্যা পথ বেছে নেয় ওই স্কুলছাত্রী।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ এবং আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে।

ওই ছাত্রীর সহপাঠি ও অন্য ছাত্রীরা জানায়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ওই আদিবাসী মেয়েটি। রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকার ঢোলভাঙা গ্রামের রতন মিনজির সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল ওই ছাত্রীর। ১৮ এপ্রিল মোবাইল ফোনে দেখা করতে ডাকে রতন। ওই দিন বিকেলে চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় সে।

এরপর সরাসরি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে ঢোলভাঙা গ্রামে যায়। সেখানে রতন ও তার তিন বন্ধু মিলে একটি নির্জনস্থানে নিয়ে দুই বোনকে ধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তারা বাড়ি ফেরে। তখন তারা অসুস্থ থাকলেও ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে বিকেল পাঁচটার দিকে শয়ন ঘরে আত্মহত্যা করে বড়বোন।

ছোটবোন বলেন, অনেক দিন ধরে রতন মোবাইল ফোনে তার দিদিকে বিরক্ত করত, প্রেমের প্রস্তাব দিত। কিন্তু দিদি তাতে রাজি হয়নি। পরে নানা কৌশলে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। এরপর থেকে তারা মোবাইলে এসএমএসে নিয়মিত কথা বলত।

ধর্ষণের শিকার অপর স্কুলছাত্রীর মাসহ প্রতিবেশী অনেকেই বলেন, ধর্ষক পক্ষ হুমকি দিচ্ছে- সে তো আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে ধর্ষণের শিকার অন্যজনকে মেরে ফেলা হবে। এই ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খোলেনি, ধর্ষণের মামলাও করেনি।

এদিকে ঘটনার পাঁচ দিন পর নিহত মেয়েটির বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।

ঘটনার পাঁচ দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, আদিবাসী স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ওই সময় কেউ অভিযোগ করেনি। এরপরও মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর তার স্বজনকে ডেকে এনে মামলা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষক রতনের বাবা বুধুয়া মিনজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)