সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমেই উপকূলের দিকে আসছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এর প্রভাবে ১৮টি জেলা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এবারের ঝড়টির নাম ‘ফনি’।
নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সতর্কবার্তায় জানায়, ঝড়টি শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই জেসমিনকে প্রত্যাহার
এদিকে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বেড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, মাদারীপুর, রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল তা কমে যেতে পারে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)