খুলনা-সাতক্ষীরা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, উদ্বিগ্ন উপকূলবাসী

খুলনা-সাতক্ষীরা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, উদ্বিগ্ন উপকূলবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দুর্যোগপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা খুলনা ও সাতক্ষীরার প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ  অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে এখানকার কয়েক লাখ মানুষের।

এদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট তীব্র শক্তির ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে নতুন করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উপকূলের মানুষ।

আবহাওয়াবিদদের মতে, চার দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার ঘাটাখালি, হরিণখোলা ও ঘোগড়া গ্রামের কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ  অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গলে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। একই অবস্থায় রয়েছে খুলনার কয়রা সদর, দক্ষিণ ও উত্তর বেতকাশি, দাকোপের সুতারখালি ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকা।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন বলেন, খুলনার কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি এলাকার ১৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধের ভাঙ্গন রোধে এখানে বালুর বস্তা, জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় উপকুলীয় এলাকায় সরকারি-বেসরকারি ৩২৫টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আবহাওয়া সতর্ক বার্তা জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)
 

সম্পর্কিত খবর