গৃহপরিচারিকা অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাতের ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছেন জামালপুরের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম।
গৃহকর্মীর ওপর পাশবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ওই কাজের মেয়ে বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, প্রায় এক বছর আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব মাস্টারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বাসায় ঝি-এর কাজ নেয়।
মাজেদুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার। তার স্ত্রী নাজমা আক্তারও একজন স্কুল শিক্ষিকা। গৃহকর্তা মাজেদুল ইসলাম স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে গৃহকর্মীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এক পর্যায়ে তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে থাকে।আরও পড়ুন: ঘুমন্ত নারীকে ‘ধর্ষণ করে’ ফেঁসে গেলেন ক্রিকেটার!
বিয়ের দুইমাস পার হলেও ওই গৃহবধূর ঋতুস্রাব আসছিল না। তাই তার শাশুড়ি ওষুধ খাওয়ানো শুরু করেন। এরপর ৭ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে সে। বিয়ের দুই মাসের মাথায় ৭ মাসের বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। লোকলজ্জার ভয়ে স্বামীর পরিবার সদ্য ভূমিষ্ট মৃত সন্তানসহ গৃহবধূকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়।
এ ঘটনা জানাজানির পর ওই গৃহবধূ তার প্রতিবেশীদের কাছে গৃহকর্তা মাজেদুলের পাশবিক যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বলে। তখন এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী মাজেদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিচারের দাবি জানায়। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে মাজেদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই নাতির সামনেই পুত্রবধূকে ধর্ষণ করত শ্বশুর!
জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে নিশ্চিত করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছেন, মৃত সন্তাটির ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গৃহকর্তা মাজেদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে বেড়াতে পাঠিয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ!
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)