পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পারা তিলাওয়াতের রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এই পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান...
খতমে তারাবি সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে পড়ার আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
অনলাইন ডেস্ক

ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-এর জীবনকর্ম
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী শরিয়তে গবেষণার ক্ষেত্রে যে চার ইমাম বরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের মধ্যে শাফেয়ি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম শাফেয়ি (রহ.) ছিলেন অন্যতম। ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.)-এর পর তিনি নেতৃস্থানীয় মুজতাহিদ ইমাম হিসেবে সমাদৃত। তাঁর পূর্ণ নাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরিস আশ-শাফেয়ি। তাঁর বংশের নবম পুরুষ হলেন রাসুল (সা.)-এর চতুর্থ পূর্বপুরুষ আবদে মানাফ। এই হিসেবে তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশোদ্ভূত। তিনি ১৫০ হিজরিতে আসকালান প্রদেশের গাজাহ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের দুই বছর পর তিনি পিতাকে হারান। ফলে মাতৃক্রোড়েই তিনি লালিত-পালিত হন। অসাধারণ স্মৃতি শক্তির অধিকারী ইমাম শাফেয়ি মাত্র ১০ বছর বয়সে কোরআন হেফজ করেন। অতঃপর মক্কায় গমন করে সেখানকার প্রখ্যাত ফকিহ মুসলিম ইবনে খালিদ বানজি (রহ.)-এর কাছে ফিকাহ শিক্ষা করেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি উস্তাদের কাছ থেকে ফতোয়া দেওয়ার অনুমতি প্রাপ্ত হন,...
ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মপ্রচারে মুসলিম বাণিজ্যের প্রভাব
আহমাদ আরিফুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী সভ্যতার ইতিহাসে বাণিজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্ব একদিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে, অন্যদিকে ইসলামের শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রচারও করেছে। প্রাচীনকালে মুসলমান ব্যবসায়ীরা তাদের সততা, বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়বিচারের মাধ্যমে অমুসলিম সমাজের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। এখানে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলিম বাণিজ্যের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো বাণিজ্য ও ইসলামী সভ্যতা ইসলামী শাসনের অধীনে বাণিজ্য ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ব্যাপক। মুসলিম শাসকরা মুক্তবাজার ব্যবস্থা ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যকে সহজতর করেছেন। মধ্যযুগে মুসলিম বণিকরা ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। মক্কা, বাগদাদ, কায়রো, করাচি, দিল্লি এবং...
রমজানের চাঁদ দেখার বিধান
মুফতি আতাউর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজান মাসের রোজা, হজ ও কোরবানির মতো ইসলামের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিধান চন্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই ইসলামী আইনজ্ঞদের মত হলো চন্দ্রমাসের হিসাব সংরক্ষণ করা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ মুসলিম জাতির অন্তত একটি দল সর্বদা চন্দ্রমাসের হিসাব সংরক্ষণ করবে। তা না হলে সবাই গুনাহগার হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে চাঁদ দেখতেন এবং অন্যদের উত্সাহিত করতেন। বিশেষত রমজানের চাঁদ দেখার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এখনো সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসাধারণকে চাঁদ দেখতে উত্সাহিত করা হয়। সাধারণ মুসলিমরাও আগ্রহের সঙ্গে চাঁদ দেখে। দুই তিন দশক আগেও বাংলাদেশের শহর ও গ্রাম অঞ্চলে দলবেঁধে রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার প্রচলন ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা বহুলাংশে হ্রাস পাচ্ছে। চাঁদ দেখতেন মহানবী (সা.) আয়েশা (রা.) বলেন,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর