মায়ের পাশে ছেলের কবরে চিরনিদ্রায় আনিসুল হক

সংগৃহীত ছবি

মায়ের পাশে ছেলের কবরে চিরনিদ্রায় আনিসুল হক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। আজ শনিবার বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদে আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র আনিসুল হকের জানাজায় অংশ নিতে সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন সর্বস্তরের মানুষ।

জানাজার আগে আনিসুল হকের একমাত্র ছেলে নাভিদুল হক বলেন, 'আমার বাবা ছিলেন একজন শৌখিন মানুষ। তিনি সুখী ও হাসি-খুশি মানুষ ছিলেন। দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই।

কাজের খাতিরে কেউ যদি আমার বাবার ব্যবহারে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েন। এছাড়া কারও যদি কোন দেনা-পাওয়া থাকে তাহলে আমার সঙ্গে, আমার চাচাদের সঙ্গে বা বাবার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। '

গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে স্ত্রী রুবানা হককে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ অাগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

গত শুক্রবার লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সেখানকার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।

প্রয়াত এই মেয়রের কুলখানি আগামী ৬ ডিসেম্বর বুধবার গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার বেলা একটার দিকে আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি (বিজি ০০২) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মরদেহের সঙ্গে দেশে এসেছেন তাঁর স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক, দুই মেয়ে ওয়ামিক উমায়রা ও তানিশা ফারিয়াম্যান হক। বিমানবন্দরে পরিবারের পক্ষে ভাই সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক মরদেহ গ্রহণ করেন।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

সেখান থেকে বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে মরদেহ বনানীর বাসায় নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনিসুল হকের বনানীর বাসায় যান। তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।

সেখান থেকে আনিসুল হকের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি বেলা সাড়ে তিনটায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। সেখানে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।  

সম্পর্কিত খবর