বান্দরবানে পরিত্যক্ত শেল বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্য নিপুন চাকমার দাহক্রিয়া রাঙামাটিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বিকেল পাঁচটায় রাঙামাটির কুতুকছড়ি ইউনিয়নে মধ্যম পাড়ার ধর্মঘট এলাকায় তার শেষ দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এসময় রাঙামাটি রিজিয়িন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রিয়াদ মেহেমুদের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এসময় রাঙামাটির নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. কাইয়ুম হোসেনসহ তার সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নিহত সেনা সদস্য নিপুনের মরদেহ বিশেষ কফিনে করে ঢাকা সেনাবাহিনী সদর দপ্তর থেকে হেলিকপ্টার যোগে প্রথমে
বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও পরে রাঙামাটি রিজিয়নে থেকে তার নিজ বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নে মধ্যম পাড়ার ধর্মঘট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে থেকে নিপুনের লাশের অপেক্ষা করছিল তার পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনরা। সেখানে ভিড় জমায় আশে-পাশে কয়েকটি গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ। স্বজনদের শোকের মাতমে ভারী হয়ে ওঠে পুরো কুতুকছড়ি এলাকা।
নিপুনের বাবা কৃপাধন চাকমা জানান, তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে নিপুন সবার ছোট। ২০১৪সালে সে প্রথম সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। গেলো নয় ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ইতি চাকমার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আর্শিরবাদের কাজও সম্পন্ন করা হয় তাদের। এবার ছুটিতে আসলে বিয়ের কাজ শেষ করা হতো। কিন্তু ছুটির আগে নিপুন ঠিক বাড়ি ফিরেছে, তবে লাশ হয়ে।
বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরলো তার বাবা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭মে (শুক্রবার) বান্দরবানে সুয়ালকের আমতলী এলাকায় সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং রেঞ্জে পরিত্যক্ত মর্টার শেল (বোমা) বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সেনা সদস্যের নাম জাহিদুল ইসলাম (২৯)। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত নিপুন চাকমাসহ সৈনিক আসাদ, রাজু, হাসান, তারেকুল, মোস্তাফিজ ও আরিফ। অবশেষে হেরে গেলো নিপুন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় সে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)