জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ মাসের ১৩ তারিখ বিকেলে চার দিনের এক সফরে বাংলাদেশে আসেন। তাঁর এই সফর মূলত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য হলেও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তিনি আলাপ-আলোচনা করেন। ১৪ তারিখ সকালে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দুপুরের পর কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন আন্তোনিও গুতেরেস ও ড. ইউনূস। সন্ধ্যার পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। পরের দিন জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন ছাড়াও তিনি নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই দিন তাঁর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজেও তিনি যোগ দেন। ১৬ তারিখে সকালের দিকে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। দুই. ১৪ তারিখে জাতিসংঘ...
রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর রাখাইন রাজ্যে বাড়িতে ফিরে ঈদ উদযাপন করতে পারে
এ কে এম আতিকুর রহমান

আছিয়া দুনিয়াদারী করতে এসে বুঝে গেলো, এটা নরক
আফজাল হোসেন

ছোট্ট আছিয়া সামান্য কয়দিনের দুনিয়াদারী করতে এসে বুঝে গেলো, এটা নরক। ভালো করেই জেনে গেছে, মানুষ নামের মানুষে জগৎ সয়লাব- আসল মানুষ তেমন নেই। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আরও এক দফা বুঝিয়ে দিলেন, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের কৃতজ্ঞতা বা গৌরববোধ নেই- তার বদলে নানা প্রকারে মানুষ প্রমান দিতে চায়, কতটা নিকৃষ্ট তারা হতে পারে! চলে গেলো আছিয়া। জীবিতকালে তাকে সন্মান দেখাতে না পারি, মৃত্যুর পর অনেকটাই বোঝাতে পেরেছি, সন্মান দেখানোয় আমরা কতটা দক্ষ, আন্তরিক। দুঃখজনক হচ্ছে, দক্ষতা, আন্তরিকতা প্রকাশ করতে আমাদের কোনও না কোনও উপলক্ষ্যের প্রয়োজন পড়ে।নিপীড়ন, অত্যাচার, অবমাননায় কারও মৃত্যু হলে- তখনই সে জীবন সন্মান, মর্যাদাপ্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে ওঠে। তখনই কেবল সে জীবনের প্রতি সংবেদনশীলতা প্রদর্শনের তাগিদ অনুভব করি। আমরা, এই মানুষ পরিচয়ের প্রানীরা অসভ্যতা,...
পূর্বসূরিদের মতো ভুল নীতিতেই চলছে ট্রাম্প প্রশাসন
ইয়াও ওয়েন

এশিয়ার পরাশক্তি চীন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য ক্রয়ে একতরফা অযৌক্তিক শুল্কারোপের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার তাদের পূর্বসূরির ভুল নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপগুলো কেবল সত্যকে বিকৃত করে এবং সাদা-কালো বিভাজন সৃষ্টি করে, বরং একতরফা অত্যাচারের উদাহরণ হিসেবে দাঁড়ায়। একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে চীন সবসময় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) কেন্দ্রে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করেছে। এটি সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অত্যাচারের কৌশলের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ও বহুপাক্ষিকতার মূলনীতি থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্যুত। একতরফা শুল্কারোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতি এবং বাণিজ্য নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এমনকি তারা...
প্রত্যাশা সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তি
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের জন্য জনগণের কাছে গেলেও তারা জনগণের ওপর নির্ভর করে না। ক্ষমতা, অস্ত্র, কালো টাকা ও সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে... বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দেখেছি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব দেখেছি, স্বাধীনতা আন্দোলন দেখেছি। তার পর পাকিস্তান হলো, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হলো। যুক্তফ্রন্টের বিজয় এবং সামরিক শাসন দেখলাম। পরে শুরু হলো মানুষের বিক্ষোভ। ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান হলো, নির্বাচন হলো। ৭১-এর যুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো। রাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব হলো না। কিন্তু মানুষের জন্য সামাজিক পরিবর্তন ছিল আবশ্যক। অথচ সামাজিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে থেকেছে ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্র, পাকিস্তান রাষ্ট্র। এমনকি একাত্তরের স্বাধীনতার পরও যে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর