ইবাদত-আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। এমাস অন্তত চারটি বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র মর্যাদাপূর্ণ- (ক) এমাসে কোরআন নাজিল হয় (খ) এমাসেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর (গ) এমাসে শয়তান বন্দি থাকে (ঘ) এ মাস মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমায় সমুজ্জ্বল। সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে আছে তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। যার ইংরেজি Who is present during that month should spend it in fasting। দুঃখজনক সত্য, কিছু মানুষ রমজানে বেশি কেনাকাটা, ভোজন রসিকতায় মেতে ওঠেন, ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। মনে রাখা ভালো, রোজা ভোজনে সংযমের মাধ্যমে খাদ্য-পুষ্টি ও সুস্থতার শিক্ষা দেয়। সুস্থতা ও অবসর মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। প্রিয়নবী (সা.) বলেন, স্বাস্থ্য ও অবসর এই দুই নিয়ামতের বিষয়ে অধিকাংশ মানুষ ধোঁকার মধ্যে রয়েছে। (বুখারি)মানুষের মধ্যে কে উত্তম? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়নবী...
রমজানে ভোজন নিয়ে ইসলাম কী বলে?
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ

তারাবিতে কোরআনের বার্তা, পর্ব-১৫
অনলাইন ডেস্ক

সূরা তাহা, এই সূরায় মানুষের ওপর কোরআনের প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে কোরআন তাদের জন্য উপদেশ, যারা আসমান ও জমিনের রবকে ভয় করে। এরপর আল্লাহর সঙ্গে মুসা (আ.)-এর কথপোকথন বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে। তাঁর লাঠি ও সাদা হাতের মুজেজা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর ভাই হারুন (আ.)-কে তাঁর সহযোগী হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মুসা (আ.)-এর বাল্যকাল সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। ফেরাউনের কাছে নম্রভাষায় দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় কোরআনবিমুখদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, যারা কোরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, মহান আল্লাহ তাদের পার্থিব জীবন সংকীর্ণ করে দেন। আর পরকালে তারা অন্ধ হয়ে উঠবে। এই সূরার শেষের দিকে বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার জীবনকে সুশোভিত করা হয়েছে পরকালর পরীক্ষাস্বরূপ। কাফিররা দ্রুত আজাব চায়। তাদের আজাবের অপেক্ষায়...
ইহকাল ও পরকালীন শান্তির চাবিকাঠি
ইহসান মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম আমল হলো ইহসান। শব্দটি অনেক ছোট হলেও এর অর্থ ও মাহাত্ম্য ব্যাপক। বিজ্ঞ আলেমরা ইহসান-কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি অপরের প্রতি অবিচার ও অন্যায়ের বিপরীত। এর অর্থ হলো সব ধরনের কদর্য ও নিন্দনীয় কাজ পরিহার করা এবং উত্তম ও সুন্দর কাজ করা। কেউ কেউ বলেছেন, ইহসান হলো এমনভাবে দায়িত্ব পালন করা, যা শরিয়ত অনুযায়ী সর্বোত্তম হয়। আবার আরেক সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ইহসান হলো আল্লাহকে এমনভাবে উপাসনা করা যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছ। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত এই বিশ্বাস রাখা যে, তিনি তোমাকে দেখছেন। এ ছাড়া, ইহসান মানে হলো দেশ ও মানুষের কল্যাণে যথাসম্ভব উপকার ও মঙ্গল সাধন করা। এক কথায় বলতে গেলে, ইহসান এক মহৎ গুণ, যার মধ্যে সব উন্নত গুণাবলির সম্মেলন ঘটেছে। ইহসান মানুষকে কল্যাণকামী হতে শেখায় এবং মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভীত...
মাহে রমজানের সার্বজনীন শিক্ষা
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেন তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ মুসলমানের ওপর রোজা ফরজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মুসলমানের জন্য এই আয়াত দলিল। আল্লাহ সম্বোধন করেছেন, হে মুমিনরা!। এই সম্বোধনের পেছনে বিশেষ প্রজ্ঞা ও রহস্য আছে। কেননা রোজা এমন বিষয় যা মানুষের জন্য কষ্টকর ও কঠিন। এজন্য সত্সাহসের প্রয়োজন হয়। এজন্য রোজা ভিত রাখা হয়েছে ঈমানের ওপর। বলা হয়েছে, তোমরা যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আল্লাহর সব কথা মান্য করার অঙ্গীকার করেছ, ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করেছ, নিজেকে আল্লাহর হাতে ন্যস্ত করেছ তাদের জন্য এই নির্দেশ। এখানে বিবেচ্য নয় যে তাতে সেটা ভালো লাগবে কি না, তাতে পার্থিব কল্যাণ আছে কি না, তা সহজ হোক না...