যে কাজটি করা হলো না আনিসুল হকের

আনিসুল হক

খবর বাংলানিউজের

যে কাজটি করা হলো না আনিসুল হকের

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মেয়রের চেয়ারে বসার পর নিত্য নতুন পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও কাজের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তথা দেশবাসীর হৃদয় জয় নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক। সব শেষে ঢাকার আমিনবাজার এলাকায় অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া সিটি কর্পোরেশনের ৫২ একর জমি নিয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেন তিনি। তবে সেখান থেকে ইট-বালুর আড়ত আর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে ৩৭ একর জমি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও কাজ শেষ করে যেতে পারেনি আনিসুল হক। মূলত বাকি জমির উপর বিজিজি’র মার্কেট থাকায় দেরি হচ্ছিল, যদিও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ধারণা, মেয়র দেশে থাকলে এতদিনে সেটাও উদ্ধার হয়ে যেত।

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে আলাপকালে মেয়রের একান্ত সচিব একেএম মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে ৫ একর জমির ওপর অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট, ৩ একর জমিতে মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, আরো ৩ একরে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপ, একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিল্ডিং, ৬ একরের (ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও ট্রান্সপোর্ট) পার্কিং, একটি স্কুল ফর স্ট্রিট চিলড্রেন, ৬ একরের বাস-ট্রাক ডিপো, এসটিএস, হসপিটাল, একটি আধুনিক পার্কসহ আরো কিছু স্থাপনা গড়ার কথা ছিল।

আর এ প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য দিনক্ষণ অতিথি সবই ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। গত ৩০ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করতেন।

কিন্তু হঠাৎ করে প্রকল্পটি উদ্বোধনের ঠিক একদিন আগে অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা জানান আনিসুল হক। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে ২৯ জুলাই লন্ডনে চলে যান তিনি।

মিজানুর রহমান বলেন, স্যার ৫২ একরের প্রকল্পটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলেন।

প্রায় ৩০ হাজার লোকের অ্যারেন্জমেন্ট ছিলো। সবাইকে দাওয়াত দেয়া শেষ, সাউন্ড সিস্টেম, স্টেজ ডেকোরেশন চলছে এমন সময় ২৮ জুলাই হঠাৎ করে স্যার বললেন, ‘প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করো। আমি অসুস্থ, লন্ডন যাবো। ফিরে এসে প্রকল্পের উদ্বোধন করবো। ’ তিনি ফিরে এলেন। কিন্তু.......

বলতে বলতে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিজানুর রহমান। ভেজা চোখে আবারো কথা শুর করেন, ‘স্যার ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেয়র সামিট’ নামের একটি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছিলেন। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩ শতাধিক মেয়রের অংশ নেয়ার কথা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিন দিনব্যাপী সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে সম্মতিও দিয়েছিলেন। তিনদিনে সেখানে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতো। আধুনিক সিটি গড়তে উন্নত বিশ্বের মেয়রদের মতামত নেয়াটাই ছিলো ওই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য। সেখানে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকতেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু এখন সেই অনুষ্ঠান আর কিভাবে হবে? আমরা তাদেরকে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছি।

সম্পর্কিত খবর