চলতি বছর মিসরে রমজান মাস অন্যরকম চেতনা ও অনুভূতির সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। গাজায় চলমান ইসরাইলি নৃশংসতা মিসরীয়দের রমজান উদযাপনকে পাল্টে দিয়েছে। মিসরের আলেকজেন্দ্রিয়ায় হাঁটলে যে কারো মনে হবে, মিসরীয়দের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতিফলন ঘটছে। তারা সবকিছুতে ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করছে। যেমন রমজান মাসের সৌন্দর্য ও মাহাত্ম তুলে ধরতে প্রতিবেশীরা মিলে রাস্তায় আলোকসজ্জা করে থাকে। এবার আলোকসজ্জায় ফিলিস্তিন সংশ্লিষ্ট প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে পুরো মিসর এক ও অভিন্ন। সাধারণত আলোকসজ্জায় লণ্ঠন ও ফেয়ারি লাইটস (ঝালর বা তারা বাতি) ব্যবহার করা হয়। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনি পতাকা। মিসরীয় বিভিন্ন শপিংমল তাদের লভ্যাংশের একাংশ ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতায় ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছে। যেমন মধ্য...
মিসরে ভিন্ন আমেজে রমজান উদযাপন
আবরার আবদুল্লাহ

যাদের রোজা মানে শুধুই না খেয়ে থাকা
সাইফুল ইসলাম

আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে রোজা একটি অপরিহার্য ইবাদত। ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন এবং তাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্তে রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করে দেয়া হয়েছে, যেমনি করে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা (রোজার মাধ্যমে) মুত্তাকি হতে পারো (আল্লাহকে ভয় করতে পারো)। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) আলোচ্য আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলা গোটা ঈমানদারদের সতর্ক করেছেন, যেন তারা তাদের জাগতিক কাজ-কর্মে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহকে ভয় করে। অর্থাৎ তাদের সব কাজ-কর্ম যেন ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক হয়, কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হয় তথা আল্লাহর নির্দেশ এবং আল্লাহর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী হয়। মহান আল্লাহর কাছে রোজাদারের মর্যাদা সীমাহীন।...
ইতিহাসের আয়নায় ১৭ রমজান
আসআদ শাহীন

রমজান পবিত্র, রহমতপূর্ণ ও ফজিলতসমৃদ্ধ মাস। এই মাস শুধুমাত্র রোজা ও ইবাদতের জন্যই নয়, বরং ইসলামের ইতিহাসে এটি একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। বিশেষ করে ১৭ রমজান, একটি স্মরণীয় দিন, যা ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। এই দিনে সংঘটিত হয়েছে এমন কিছু ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হলো- ১. উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর ইন্তেকাল ইসলামি ইতিহাসের সূর্যালোকে এক অনন্য উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী এবং প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর কন্যা। তাঁর নাম আয়েশা, উপাধি সিদ্দিকা ও হুমায়রা এবং তাঁর সম্মানজনক উপাধি উম্মুল মুমিনিন (মুমিনদের জননী)। আয়েশা (রা.) ছিলেন মেধা, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রখ্যাত সাহাবি আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন : আমরা, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা, যখনই কোনো জটিল...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব-১৭
সুরা হজ

এই সুরায় বিশেষভাবে হজের বিধি-বিধান, ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক হজের ঘোষণার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এরপর জান্নাত ও জাহান্নামবাসীদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। মুনাফিকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে মসজিদুল হারামের মর্যাদা বর্ণনা এসেছে। এর ভেতরে যুদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ সুরায় যুদ্ধের বিধান দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং মুসলিম শাসকের করণীয় বর্ণনা করা হয়েছে। ঈমানদারদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক উম্মতের চলার ভিন্ন ভিন্ন পথের কথা বলা হয়েছে। সুরার শেষের দিকে বলা হয়েছে যে, মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আগের সব উম্মতের ওপর সাক্ষী হবেন। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. কিয়ামত দিনের সর্বশেষ নিদর্শন হবে মারাত্মক ভূমিকম্প। যা জগতবাসীকে মারাত্মকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করবে। (আয়াত : ১) ২. হাত গণনা, ভবিষ্যদ্বাণী করা বা তাবিজ-কবজের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর