বৃষ্টি মহান আল্লাহর অনন্য এক নেয়ামত ও রহমত। বৃষ্টিতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় ও ফসল ফলে, তীব্র গরমে মানুষ ও প্রাণীকুল স্বস্তি লাভ করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা: ২৮) নবিজি (সা.) বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত বলে অভিহিত করতেন। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন বৃষ্টি দেখতেন, তখন বলতেন, এ তো আল্লাহর রহমত। (সহিহ মুসলিম: ১৯৫৭) বৃষ্টি দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন, اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআন অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি এ বৃষ্টিকে...
বৃষ্টি ঝরতে দেখলে যে ছোট দোয়াটি পড়বেন
অনলাইন ডেস্ক

যে তিন অভ্যাস আল্লাহর অপছন্দ
মাইমুনা আক্তার

কিছু অভ্যাস এমন আছে, যেগুলো বান্দাকে আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় করে তোলে। মানুষের নেক-আমলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মানুষকে দুনিয়া-আখিরাতে নিন্দিত ও বিপদগ্রস্ত করে। তাই মুমিনের উচিত, এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকা। নিম্নে সে অভ্যাসগুলো তুলে ধরা হলো, অহংকারী: অহংকারতে আরবি ভাষায় কিবর, ফাখর ও খুয়ালা ইত্যাদি বলা হয়, প্রতিটি একেকটি স্তরের অহংকার। মহান আল্লাহ প্রত্যেকটিই নিষিদ্ধ করেছেন। কিবর (অহংকার মানে হলো, নিজেকে বড় মনে করা; অন্যদের তুলনায় নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবা। কিবর এর ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অহংকারীদের পছন্দ করেন না। (সুরা নাহাল, আয়াত : ২৩) ফাখর (গর্ব) মানে হলো, বাহ্যিক বিষয় যেমন সম্পদ, বংশ-মর্যাদা ইত্যাদি নিয়ে আত্মপ্রদর্শন। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন, আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না;...
স্বগোত্রে মহানবী (সা.)-এর দাওয়াত
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

ইসলাম আগমনের পর মহানবী (সা.) প্রথম তিন বছর গোপনে দাওয়াত দেন। এর ফলে ভ্রাতৃবন্ধন ও পরস্পর সাহায্য সহযোগিতার অঙ্গীকারে আবদ্ধ একটি দল যখন তৈরি হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া এবং বাতিল দ্বীন ও উপাস্যদের উত্তম পন্থায় প্রতিহত করতে আদিষ্ট হলেন। মহান আল্লাহ বলেন, আর তুমি সতর্ক কর তোমার নিকটাত্মীয় স্বজনদের। (সুরা আশ শুআরা, আয়াত : ২১৪) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যখন তাঁর আত্মীয়-পরিজন ও স্বগোত্রীয় লোকজনদের নিকট দ্বীনের প্রকাশ্য দাওয়াত পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হলো, তখন নবীজি (সা.) বনু হাশেম গোত্রকে সমবেত করলেন। সমবেত লোকদের সংখ্যা ছিল ৪৫ জন। অধিবেশনের শুরুতেই আবু লাহাব মহানবী (সা.)-এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করল এবং ধৃষ্টতা দেখাল। বিপরীতে মহানবী (সা.) সম্পূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করলেন। সেই নীরবতার মধ্য দিয়েই সম্মেলন শেষ হয়ে গেল। এরপর নবী কারিম (সা)...
ওলি হওয়ার পথ ও পাথেয়
আলেমা হাবিবা আক্তার

আরবি ওলি শব্দের অর্থ বন্ধু, সাহায্যকারী ও অভিভাবক। তাসাউফের পরিভাষায় আল্লাহর ওলি দ্বারা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা উদ্দেশ্য। তবে ওলি শব্দ ব্যবহার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থও দেয়। আল্লাহর ওলিদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, জেনে রাখো! নিশ্চয়ই আল্লাহর ওলিদের কোনো ভয় নেই এবং তাঁরা চিন্তিতও হবে না, যারা ঈমান এনেছেন এবং যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে আত্মরক্ষা করে চলে। (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৬২-৬৩) উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহর ওলিদের দুটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। তা হলো, তারা বিশুদ্ধ ঈমানের অধিকারী হবে এবং তারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে চলবে তথা তাকওয়ার পথ অনুসরণ করবে। সুতরাং আল্লাহর ওলি হওয়ার জন্য ঈমান ও তাকওয়ার গুণ অর্জন করতে হবে। ঈমান হলো তাওহিদ ও রিসালাতের প্রতি বিশুদ্ধ বিশ্বাস অন্তরে ধারণ করা এবং শিরক ও কুফর থেকে বিরত থাকা। আর তাকওয়ার মূলকথা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর