হাতিয়ায় ফের গৃহবধূকে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

হাতিয়ায় ফের গৃহবধূকে গণধর্ষণ

নোয়াখালী প্রতনিধি

নোয়াখালীতে এক গৃহবধূ ধর্ষণের ১ সপ্তাহ যেতে না যেতে আবারও এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বুধবার রাত ২ টায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় ৩ সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের চর আমানতপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আশিক উল্লার স্ত্রী (২৩)।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম জানান, বুধবার রাত ২টায় একই গ্রামের সাব উদ্দিন, জামাল মাঝি ও আলমগীর তার বাবার বসত ঘরে প্রবেশ করে।

এ সময় ঘরে কোন পুরুষ মানুষ ছিল না। প্রথমে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। পরে মারধর করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।

মোরশেদ নগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাঈমা জানান, গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে মেডিকেল রিপোর্ট অতি শিঘ্রই প্রেরণ করা হবে।

এদিকে গত ২৩ মে রাতে জেলার বেগমগঞ্জ ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের আমির হাসেনের সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসী হারুন, সাইফুল ও বাবু  মৎস্য খামার নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘটনার রাতে ওই ৩ জন আমির হোসেনের বসত ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে মারধর করে একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।  

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ দোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল ও  রুদ্রপুর গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে বাবু কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে  ১ টি এলজি এবং ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে ।

ভিকটিমের স্বামী  আমির হোসেন জানান, গণধর্ষণ শেষে সন্ত্রাসীরা তার স্ত্রীর গলার ৪০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণেও চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইন এবং ধর্ষণ ২টি পৃথক মামলা হয়েছে।  


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর