পাকিস্তানকে উড়িয়ে উইন্ডিজের শুভ সূচনা

ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানকে উড়িয়ে উইন্ডিজের শুভ সূচনা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উইকেট দিয়ে আসার মিছিলে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই থেমে যায় ক্যারিবীয় বোলারদের তোপের মুখে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চারটি ম্যাচেই তিনশ’ রানের উপরে রান তুলেছিল পাকিস্তান। আজ পার করল কোনোমতে একশ’ রান।

পাকিস্তান অধিনায়ক গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলে রেখেছেন, তারা আনপ্রেডিক্টেবল বলেই সব দল ভয় পায় পাকিস্তানকে।

পাকিস্তান অধিনায়কের এমন কথার পর বলা যায়, এ কেমন ভয়!

নটিংহ্যামের ট্রেন্টবিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়াতেই নাক ছিটকান সরফরাজ আহমেদ। ছেয়েছিলেন আগে বোলিং করতে।

ওই নাক ছিটকানোই কি তাহলে এমন ব্যর্থতার ভবিষ্যৎবাণী ছিল?
দলের দুইজন ব্যাটসম্যানই কেবল পার করতে পেরেছেন কুড়ি রানের কোটা। দুইজন পার করেছেন দশের কোটা।

শেলডন কটরেল, আন্দ্রে রাসেলদের গতিতে পরাস্ত হয় পাকিস্তানের টপ অর্ডার। বাবর আজমকে ২২ রানে সাজঘরের পথ ধরান ওশান থমাস। চার নম্বরের ব্যাট করতে আসা বাবর আজমকেও ফেরান রাসেল। ১৩.১ ওভারে দলীয় ৬২ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের টপ অর্ডার।

অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দেন ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ হাফিজরা। হাফিজের ব্যাটে আসে ২৪ বলে ১৬ রান।

১৯ ওভার ৩ বলে যখন ৯ উইকেট হারিয়ে একশ’ রানের আগে অলআউটের ক্ষণ গণনা। তখন দুই ছয় আর এক চারে ১৮ রানের ইনিংস খেলে দলীয় একশ’ রান পার করেন ওহাব রিয়াজ। ২১ ওভার ৫ বলে ১০৫ রানেই শেষ পাকিস্তান।

ক্যারিবীয়দের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ওশান থমাস, ৩ উইকেট জেসন হোল্ডার, ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও ১টি উইকেট নেন শেলডন কটরেল।

১৯৯২ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ৭৪ রানে। যদিও ওই ম্যাচ হারতে হয়নি বৃষ্টির কল্যাণে। আজ আর সেটি হয়নি। হেরেই শুরু করতে হয়েছে বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান টানা ১০টি ওয়ানডেতে হেরেছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। আজ ক্যারিবীয়দের কাছে দ্বাদশ ওয়ানডে হারের স্বাদ পেল সরফরাজের দল।

পাকিস্তানের দেয়া ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হেসে খেলেই ম্যাচ শেষ করে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। উইন্ডিজ ওপেনার ক্রিস গেইল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫২তম অর্ধশতক তুলে নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তাকে ফেরান মোহাম্মদ আমীর।

আরে ওপেনার শাই হোপকেও ১১ রানে ফিরিয়ে দেন আমীর। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা ড্যারেন ব্রাভোকেও রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। অথচ আমীরকে রাখা হয়নি প্রথমবার ঘোষিত পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে।

ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট হারানোর পর আর কোনও উইকেট হারাতে দেননি নিকোলাস পুরান আর শিমরন হেটমেয়ার। পুরানের ব্যাটে ৩৪ আর হেটমেয়ারের ৭ রানে ভর করে ১৩ ওভার ৪ বলে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর