স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালাল স্বামী

মরদেহ উদ্ধার। প্রতীকী

স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালাল স্বামী

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে নেশাগ্রস্থ স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে রিমা খাতুন (২৭) নামে দুই সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন।

এদিকে রিমার মরদেহ প্রতিবেশির ফাঁকা বাড়ির বারান্দায় রেখে স্বামী বাবু ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।  

গুরুদাসপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাকড়া গ্রামের আবুল হারেজের ছেলে বাবুর (৩০) সঙ্গে মকিমপুর এলাকার মৃত সবোর উদ্দিনের মেয়ে রিমা খাতুনের (২৭) বিয়ে হয়। তাদের দুইটি ছেলে সন্তানও আছে। একজনের বয়স আট বছর, অন্যজনের পাঁচ। স্বামী বাবু প্রায়দিনই নেশা করে স্ত্রী রিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।

নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে রিমা গ্যাসের ট্যাবলেট খায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন রিমাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিমা মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে ফিরে এসে প্রতিবেশির ফাঁকা বাড়ির বারান্দায় রেখে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

পরে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর মর্গে পাঠান।

শনিবার সকালে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৃত রিমার মা গোলবাহার বলেন, বাবু শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করায় আমার মেয়ে বিষ খেয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

তিনি আরো বলেন- আমার স্বামী ২০ বছর আগে মারা গেছে। আমার তিন ছেলে তিন মেয়ে। ভিক্ষা করে এবং অন্যের
বাড়িতে কাজ করে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। রিমার স্বামী নেশা করতো। ঠিক মতো কাজকর্ম করতো না। তাই যখন তখন রিমার বাড়িতে চাল-ডাল দিয়ে আসতাম।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)
 

সম্পর্কিত খবর