ধর্ষণের মামলার আসামির সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ওই আসামির নাম আবুল কালাম আজাদ (২৭)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
দেড় মাস ধরে একজন নারী পুলিশ সদস্য ওই আসামির সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের অভিনয় করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক সৌরভ কুমার চন্দ্র বলেন, গত ১৫ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ এলাকার এক নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে। একপর্যায়ে ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এর আগেই আবুল কালাম আজাদ পালিয়ে যায়। পরের দিন ওই নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারে তিনি থানার একজন নারী পুলিশ সদস্যকে দিয়ে আবুল কালাম আজাদকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। দেড় মাস ধরে নারী পুলিশ সদস্য তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে উভয়ে মোহনপুর থানার সীমান্তবর্তী হাসনাবাদ এলাকায় দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করেন। তারা কী ধরনের পোশাক পরবেন, সেটাও আলাপ হয় মোবাইল ফোনে। পোশাক দেখে পরস্পরকে চেনা যাবে বলেও ঠিক হয়। দুপুর একটার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৌরভ কুমার চন্দ্র নারী কনস্টেবলকে নিয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হন। সাদাপোশাকে থাকা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ওঁৎ পেতে থাকেন। পোশাক দেখে চিনে আসামি নারী কনস্টেবলের কাছে এসে গল্প শুরু করলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।
পরে বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আসামি ধরতে পুলিশকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এতে পুলিশের ঝুঁকিও থাকে। তবে এক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)