ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনের মধ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার শিয়ালদহে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ড. ইমানুল হকের উদ্যোগে ৮ সংগঠনের পক্ষ থেকে শিয়ালদহ জিআরপিতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগে তাঁরা ‘ট্রেনে জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে ট্রেন যাত্রীদের উপরে আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে’, ‘আই অ্যাম এ হিন্দু, আই হেট হিন্দু তালিবান’, ‘ডোন্ট কিল’ ইত্যাদি লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ভারত এক ধর্মনিরপেক্ষ ও মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। পরধর্ম সহিষ্ণুতা আমাদের ঐতিহ্য। গত ২০ জুন এক ভাষা শিক্ষকসহ চারজনকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টাসহ মারধর করা হয়েছে। পার্ক সার্কাস ষ্টেশনে তাদের ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজ মুহাম্মদ শাহরুখ হালদার (২৬) যখন ট্রেনে করে ক্যানিং থেকে হুগলি যাচ্ছিলেন তখনই তাকে জোরকরে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টা হয়। ওই শিক্ষক তা না বলতে চাইলে তাকে একদল উগ্র ধর্মান্ধজনতা মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।
রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ওই শিক্ষক তাদের জানান একদল লোক তার কাছে এসে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলেন। কিন্তু তিনি তা বলতে না চাইলে ওই লোকগুলো তাঁকে মারধর করে এবং পার্ক সার্কাসের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরফলে তাঁর চোখ ও হাতে আঘাত লাগে। আক্রান্ত শিক্ষক এ ব্যাপারে বালিগঞ্জ জিআরপিএসে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)