রিফাত হত্যায় অধরা নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী

রিফাত শরীফ

রিফাত হত্যায় অধরা নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো, মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়।

রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

তবে তদন্তের স্বার্থে কোন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ নিয়ে রিফাত হত্যা মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এখনো পলাতক রয়েছেন আরও চার আসামি। এর আগে অন্যতম পরিকল্পনাকারী মো. সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রিফাত শরীফ হত্যার পরিকল্পনাকারী গ্রুপের সদস্য সাগর কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ইতিমধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আজ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল বরগুনা পুলিশলাইনে। সেই পরীক্ষা দেওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

উল্লেখ্য, রিফাত শরীফ গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে ক্যালিক্স কিন্ডার গার্টেনের সামনে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তাঁরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

এই হামলার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত রিফাত শরীফ সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের দুলাল শরীফের ছেলে।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর