সাংবাদিক শাহাজাদা মিয়া আজাদের দাফন সম্পন্ন

ছবি সংগৃহীত

সাংবাদিক শাহাজাদা মিয়া আজাদের দাফন সম্পন্ন

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

রংপুরের সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ বাংলাদেশ প্রতিদিন এর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাজাদা মিয়া আজাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাবের সামনে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জোহর মাহিগঞ্জ তালতলা জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মাহিগঞ্জ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।  

এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি তিন পুত্র, স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রংপুরের সাংবাদিক সমাজসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  

শাহজাদা মিয়া আজাদের পুত্র শুভ জানান, গত বছর স্ট্রোক করার পর ঢাকা ও ভারতে চিকিৎসা শেষে রংপুরের মাহিগঞ্জে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে ছিলেন বাবা।

হঠাৎ বেশি অসুস্থ হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হয়। এরপর তাকে সেখানে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১১টায় তিনি মারা যান।  

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনা হয় রংপুর প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সাংবাদিক শাহাজাদ মিয়া আজাদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। এসময় তারা বলেন, সাংবাদিক শাহজাদা মিয়া আজাদ ছিলেন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সাংবাদিকতা করেছেন। তার মৃত্যুতে রংপুরবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।  

রংপুর প্রেসক্লাবের ক্রিড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী জানান, ৮০ দশকে কারমাইকেল কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের নাট্য সম্পাদক ছিলেন তিনি। পড়ালেখা শেষ করে ব্যবসা শুরু করলেও লেখালেখির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় দৈনিক যুগের আলোকে শুরুর দিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন।

পরে বগুড়া থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে কাজ শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে বিডি নিউজ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে যোগদান করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানেই কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি নাটক লিখতেন ও গান গাইতেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের জন্য অনেক নাটক লিখে গেছেন। তিনি স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দাবানল এর বার্তা সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার মৃত্যুতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।  


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর