স্কুলছাত্রী‌কে তুলে নিয়ে ২৮ দিন ধরে ধর্ষণ

২৮ দিন ধরে ধর্ষণ। প্রতীকী

স্কুলছাত্রী‌কে তুলে নিয়ে ২৮ দিন ধরে ধর্ষণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মোবাইলে প্রেম, প্রথমে বন্ধুত্ব ও প‌রে প্রেমের সূত্র ধরে বি‌য়ের প্রলোভন দে‌খি‌য়ে ১৫ বছ‌রের এক স্কুলছাত্রী‌কে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শরীয়তপুর সদর উপ‌জেলার এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুজন গাজী (১৯) না‌মে এক স্কুলছাত্র‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

শ‌নিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপ‌জেলার ম‌নোহর বাজার এলাকা থে‌কে তা‌কে আটক করা হয়।

এর আগে শুক্রবার রা‌তে ছাত্রীর বাবা বাদী হ‌য়ে পালং ম‌ডেল থানায় এক‌টি মামলা দা‌য়ের ক‌রেন।

আটক সুজন গাজী চাঁদপুর জেলার ফ‌রিদগঞ্জ উপ‌জেলার ধানুয়া গ্রা‌মের দুলাল গাজীর ছে‌লে। সুজন স্থানীয় এক‌টি মাধ্য‌মিক বিদ্যাল‌য়ের নবম শ্রে‌ণির ছাত্র।

ওই মেয়ের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, চাঁদপুর জেলার ফ‌রিদগঞ্জ উপ‌জেলার ধানুয়া গ্রা‌মের সুজন গাজীর স‌ঙ্গে শরীয়তপুর সদর উপ‌জেলার চরপালং এলাকার এক স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফো‌নে প্রথমে বন্ধুত্ব ও প‌রে প্রেমের সম্পর্ক গ‌ড়ে ওঠে। বি‌য়ের প্রলোভন দে‌খি‌য়ে গত মা‌সের ৪ জুলাই দুপুর আড়াইটার দি‌কে বন্ধু‌দের সহ‌যো‌গিতায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ক‌রে সুজন চাঁদপুর তার বা‌ড়ি‌তে নি‌য়ে যায়।

তার বা‌ড়ি‌তে রে‌খে ২৮ দিন প্র‌তি‌নিয়ত ধর্ষণ ক‌রে মে‌য়ে‌টি‌কে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরে।

অপহর‌ণের পর মে‌য়েকে ‌কোথাও খুঁ‌জে না পে‌য়ে গত ২৪ জুলাই পালং ম‌ডেল থানায় এক‌টি সাধারণ ডায়‌রি (জি‌ডি) ক‌রেন মে‌য়ের বাবা।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ব‌লেন, আমার মে‌য়ে অষ্টম শ্রে‌ণি‌তে প‌রে, মে‌য়ে‌টি নাবা‌লিকা। আমার মে‌য়ে‌কে ফুস‌লি‌য়ে অপহরণ ক‌রে চাঁদপু‌রের সুজন গাজী। প‌রে আমি থানায় জি‌ডি ক‌রি। জি‌ডি করার প‌র গত সপ্তা‌হে সুজ‌নের বাবা‌ দুলাল গাজী আমার মোবাই‌লে ফোন দেয়।

ফোন দি‌য়ে ব‌লে, আপনার মে‌য়ে আমার বা‌ড়ি‌তে। আমি মেয়ের সন্ধান পেয়ে (২ আগস্ট) শুক্রবার থানায় একটি মামলা করি। প‌রে শ‌নিবার সুজন ও তার মা মে‌য়ে‌কে নি‌য়ে শরীয়তপু‌রে আসে। মে‌য়ে অসুস্থ হ‌য়ে প‌রে‌ছে। তাই শরীয়তপুর সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রি। আমার অবুজ নাবালক মে‌য়ের সঙ্গে খারাপ কাজ ক‌রে‌ছে। আমি বিচার চাই।

পালং ম‌ডেল থানা পু‌লি‌শের এসআই রুপু রায় মোবাইল ফো‌নে জানান, ওই ঘটনায় মে‌য়ের বাবা বাদী হ‌য়ে থানায় মামলা ক‌রে‌ছে। মামলার আসামি সুজন গাজী‌কে ম‌নোহর বাজার এলাকা থে‌কে আটক করা হ‌য়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর