খুলনায় তিন সন্তানের জননীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেসে গেলেন ওসি-এসআই সহ পাঁচ পুলিশ সদস্য। ৩৫ বছর বয়স্ক ওই গৃহবধূকে পাঁচ পুলিশ সদস্য মিলে ধর্ষণের ঘটনায় ওসি উসমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
বুধবার সকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ।
এর আগে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তদন্ত ফিরোজ আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির বাকি দুই সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ.ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।
গত ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজলসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্যে ওসি ওসমান গনি পাঠান ও এসআই গৌতমসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারপিটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
জানা যায়, গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) ওই নারী (২১) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন।
আরও পড়ুন: প্রথমে ওসি পরে চার পুলিশ ধর্ষণ করে, বললেন তরুণী
পরদিন শনিবার ওই নারীকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের কথা বলে দেন।
এরপর আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।
এর আগে ওসি ওসমান গনি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মাদক মামলা থেকে রেহাই পেতে ওই নারী এ ধরনের অভিযোগ তোলেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)