ত্যাগের মহিমায় সংঘাত মুক্ত বিশ্ব রচনায় পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সাথে সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হলো ঈদুল আজহা । ১১ আগস্ট রোববার ছুটির দিন হওয়ায় ঈদ আনন্দের উচ্ছ্বাস ছিল পরিপূর্ণ। প্রায় প্রতিটি ঈদ জামাত এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ছিল নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা। ফলে প্রায় সর্বত্র স্বস্তির মধ্যেই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, মিনেসোটা, ওহাইয়ো, আরিজোনা, ওয়াশিংটন, নেভাদা, নিউ অর্লিন্স, আলাবামা, মিসিসিপি প্রভৃতি স্থান থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫০ হাজারের অধিক বাংলাদেশি এবার পশু কুরবানী দিয়েছেন। ১২ হাজারের অধিক বাংলাদেশি-আমেরিকান এবার মক্কা শরিফে পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেছেন। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো শুভেচ্ছা (রোববার সন্ধ্যা নাগাদ) বার্তা না দিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে মুসলিম বিশ্বকে অভিনন্দন-শুভেচ্ছার পর ঈদ মুবারক জানিয়েছেন।
এদিকে, নিউইয়র্কে এবারও সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে টমাস এডিসন পার্কে।
স্থানীয় এবং অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ জামাতে এসে সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনাবলির সমালোচনা করেন।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় একটি করে মোট ৫টি ঈদ
জামাতে শতশত মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। ব্রুকলীনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, ওজনপার্কে মসজিদ আল আমান, এস্টোরিয়ায় আল আমিন ও শাহজালাল মসজিদ, ব্রঙ্কসে পার্কচেষ্টার জামে মসজিদ, বাংলাবাজার জামে মসজিদ, ইস্ট এলমহার্স্ট মসজিদ, লং আইল্যান্ডে শেলডন মসজিদের ঈদ জামাত হয় স্থানীয় ফুটবল মাঠে। হাজার হাজার বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা এসব নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
ফ্লোরিডায় ইসলামি সেন্টার অব বোকারেটন, আটলান্টিক সিটিতে মসজিদ আল হেরা, মসজিদ আল তাকওয়া, ভার্জিনিয়ায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যবস্থাপনায় ঈদ জামাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
