‌‘মুখ খুললে পরিণতি খারাপ হবে’

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও তাঁর মেয়ে ইলতিজা জাভেদ

‌‘মুখ খুললে পরিণতি খারাপ হবে’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা জাভেদ অভিযোগ করেছেন, তাঁর মা গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিন পরে তাঁকে তাঁর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। বাড়িতে কেউ এলে তাদের গেট থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এ খবরটুকুও তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এক চিঠিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।

চিঠিটি একটি অডিওবার্তা আকারেও প্রকাশ করেছেন তিনি।

ইলতিজা জাভেদ বলেছেন, আজ (১৫ আগস্ট) দেশের বাকি অংশগুলো ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলেও, কাশ্মীরিরা জন্তুর মতো খাঁচাবন্দি হয়ে আছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের মৌলিক মানবাধিকার।

ইলতিজা প্রশ্ন করেন- বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে এক নাগরিকের কি অকল্পনীয় নিপীড়নের কথা বলারও অধিকার নেই? এটা এক ধরনের করুণ বিদ্রুপ যে, অস্বস্তিকর সত্য বলার কারণে আমার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে।

সারাক্ষণ নজরদারির মধ্যে রয়েছি। যারা মুখ খুলেছে, সেসব কাশ্মীরির মতো আমারও প্রাণহানির শঙ্কা হচ্ছে।

চিঠিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গৃহবন্দি হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে।

তিনি লিখেছেন, নিরাপত্তা রক্ষীরা বলছে, তিনি সংবাদপত্রে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেজন্যই তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ফের মুখ খুললে পরিণতি খারাপ হবে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ফলে যাতে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখা দেয়, সেজন্য উপত্যকায় যোগযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে।

গৃহবন্দি হওয়ার পর থেকে ইলতিজার দ্বিতীয় অডিওবার্তা এটি। এর আগে গত ৬ আগস্ট এনডিটিভির কাছে ইলতিজা জাভেদ অভিযোগ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে কাউকেই সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ইলতিজা বলেন, আমার মাকে সোমবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে হরি নিবাস নামে সরকারি গেস্ট হাউজে আটকে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না আমাদের। তাকে দেখতে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়নি আমাকে। সমস্ত ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন- সবকিছু বন্ধ থাকায় সব রকম যোগাযোগ চরম আকারে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার ঘোষণার আগের রাতেই গত ৪ আগস্ট প্রথমে গৃহবন্দি করা হয় মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহকে।

পরেরদিন আটক করে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। এছাড়া, আরেক নেতা শাহ ফয়সালকে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) দিল্লি বিমানবন্দর থেকে আটক করে শ্রীনগরে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে গৃহবন্দি আছেন তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর