ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জলবায়ু ধর্মঘট পালন করল স্কুল শিক্ষার্থীরা। ১৫০টি দেশে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে সকলের মুখেই ছিল জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপের আহ্বান। সব বাধা অতিক্রম করে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ বাঁচানোর অঙ্গীকার করেছেন আন্দোলনের মূল নেতা গ্রেটা থুনবার্গ।
তবে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন হলেও এর অনুমোদন দেয়নি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীন।
জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে পরিবেশ বাঁচাতে বিশ্বব্যাপী শুরু হলো আন্দোলন। ১৬ বছর বয়সী সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের উদ্যোগে শুক্রবার থেকে শুরু হয় এই ধর্মঘট।
লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, রোম থেকে বার্লিন, সিডনি থেকে সিউল, ম্যানিলা থেকে মুম্বাই সবখানেই এক দাবি- অবিলম্বে বাঁচানো হোক পৃথিবীর পরিবেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবারের সমাপনী আন্দোলন। আন্দোলনের নেতৃত্ব দাতা ১৬ বছর বয়সী থুনবার্গ জানান, শক্তিধররা তাদের আন্দোলনে সমর্থন দিক আর না দিক, যে কোনো মূল্যে পরিবেশ রক্ষা করবেন তারা।
সবার চোখ এখন বিশ্বনেতাদের দিকে। পরিবেশ রক্ষায় তারা যে ইচ্ছুক, সেটা প্রমাণ করতে হবে তাদের। আমাদের এই আহ্বান কী শুনতে পাচ্ছে তারা? যেভাবেই হোক শুনিয়ে ছাড়ব তাদের, বলেন তিনি।
আমাজনকে বাঁচাতে অবিলম্বে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রাজিলের বিক্ষোভকারীরা।
তবে বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলন নিজ দেশে পালনের অনুমোদন দেয়নি চীন। চীনের তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেবে বলে দাবি জানিয়েছে বেইজিং।
আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে ডুবে যাবে অসংখ্য শহর। তাই অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে বৈশ্বিক পর্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক বলে জানিয়েছে তারা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)