যশোরে হোটেল কক্ষ থেকে নারী পুলিশসহ এমপিপুত্র আটকের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি এখন যশোরের মানুষের মুখে মুখে; ঝড় তুলছে চায়ের টেবিলে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে এ নিয়ে মন্তব্যের ঝড়। অনেকে ফেসবুকে এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, 'চাকরি প্রাপ্তি, বদলি, প্রমোশন অর্থ ইত্যাদির মোহে অনেকেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নিজেকে বিকিয়ে দেয়। বিধিবাম বা অদৃষ্টের কারণে কিছুকিছু ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। ' যদিও এমপি'র পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।সূত্র জানায়, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শহরের হাটখোলা রোডে হোটেল সিটি প্লাজায় অভিযান চালান।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুরোপুরি স্বীকার বা অস্বীকারও করা হয়নি। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হোটেল সিটি প্লাজার জেনারেল ম্যানেজার শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেল কক্ষে নারী থাকার বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় অবহিত করা হলে কিছুক্ষণ পর থানার অফিসার শামসুদ্দোহা কক্ষটি থেকে শুভ ও সাহানাকে আটক করে নিয়ে যান।
তবে ইন্সপেক্টর শামসুদ্দোহা বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছে জানতে চাওয়া হলে ওই নামে তার থানায় একজন এএসআই কর্মরত আছেন বলে স্বীকার করেন।
ওসি জানান, ওই এএসআই সিসি নিয়ে যশোর গেছেন। সেখানে কিছু ঘটেছে কিনা তা তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে জানতে মনিরামপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্যের ছেলে শুভর মুঠোফোনে সন্ধ্যা ৭টায় ফোন করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে শুভর মা যশোর মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্যকে ফোন করলে তিনি বলেন, এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শুভ তো বাসায় রয়েছে। কিছু মানুষ রটনা পছন্দ করে, তাই এসব কথা রটাচ্ছে।
এ ব্যাপরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা অফিস অর্ডার ছাড়া সিটি প্লাজায় গিয়েছিলেন। কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কিন্তু এমপিপুত্রকে আটক করা হয়েছে এমন কোনো খবর পুলিশের কাছে নেই বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।