‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’

সংগৃহীত ছবি

‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

‘আহা, আজি এ বসন্তে/কত ফুল ফোটে, কত বাঁশি বাজে/কত পাখি গায়। ’ বছর ঘুরে আবার এলো সেই ফুল ফোটার দিন। আজ মঙ্গলবার। পহেলা ফাল্গুন।

ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এতো বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি।

তাই কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।

নবযৌবনের ঋতুকে বরণ করে নিতে ফাগুনের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়ে গেছে সে উৎসবের। রাজধানীর শাহবাগ, চারুকলা, টিএসসি, পাবলিক লাইব্রেরি আর উদ্যানে উদ্যানে নর-নারীর বাসন্তী সাজ মনে করিয়ে দিচ্ছে- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত।

বসন্তের প্রথম সকালে বাসন্তী রং শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নুপুর, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়বে তরুণীর দল। পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরা ছেলেরাও সঙ্গী হবে বসন্তবরণের বিভিন্ন আয়োজনে।

২২ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ। ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’প্রতিপাদ্যে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় যন্ত্রসঙ্গীতের সুর-মূর্ছনায় শুরু হয় এ কর্মসূচি। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। বর্ণিলসাজে নানা বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে নাচে-গানে বরণ করে নেয়া হয় ফাগুনকে।

এছাড়া বিকাল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠান চলবে চারুকলার বকুলতলা, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এবং উত্তরার ৩নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে। সে মঞ্চে হাজারো কণ্ঠে একসঙ্গে ধ্বণিত হবে, বসন্ত এসে গেছে!

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ফুলে ফুলে ভরে গেছে বাংলার সবুজ প্রান্তর। কোকিলের ডাক যেনো মানুষের জীর্ণতা প্রস্তুত শ্যামল বাংলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।

ফাগুনের প্রথম দিনে বসন্তের রঙ থাকবে বইমেলাতেও। ১৯৫২ সালে এমনই এক বসন্তের দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেক ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালির রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা আদায় হয়েছিল। ঋতুরাজ বসন্ত ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের যে আবেগ, তা পরশ বইমেলায়ও পড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রকাশকরা।

ফাগুনের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিক্রি অন্যান্য দিনের চেয়ে ভালো হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বিশ্ব ভালবাসা দিবসেও তার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

সম্পর্কিত খবর