আজ থেকেই চালু ফোরজি

সংগৃহীত ছবি

আজ থেকেই চালু ফোরজি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

চতুর্থ প্রজন্মের তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোরজি চালু হচ্ছে সোমবার। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টেলিকম অপারেটরদের কাছে ফোরজি লাইসেন্স হস্তান্তর করবে। তিন বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক আজ সন্ধ্যায় লাইসেন্স পাবে। এর পরই তারা সেবাটি চালু করবে।

টেলিটক এখনো ফোর-জি চালুর দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেনি।

এরই মধ্যে অপারেটররা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তবে এগিয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। লাইসেন্স প্রাপ্তির ১৫ মিনিটের মধ্যে ফোরজি চালু করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা।

তবে ফোরজি চালু হলেও তার সুবিধা গ্রাহকরা পেতে কিছুটা সময় লাগবে। গ্রাহকদের হাতে নেই পর্যাপ্ত ফোরজি নেটওয়ার্ক সমর্থিত হ্যান্ডসেট। আবার থ্রি জি সিম পাল্টে নতুন সিম নিতে হবে। অপারেটরগুলো বেশ কিছু দিন ধরেই সিম পাল্টে নেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও এ ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ফোরজি প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা গেলে তা দেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

ফোরজির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেট। ফলে এটি চালু হলে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সার্ভিস ব্যবহার করা যাবে সহজে।

ফ্রিল্যান্সিংসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক পেশার সঙ্গে জড়িতদের জন্যও ফোরজি হতে পারে আশীর্বাদ স্বরূপ। দেশের প্রতিটি প্রান্তে ফোরজি পৌঁছে গেলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

দ্রুতই গ্রাহকদের কাছে ফোরজির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা জানালেন বাংলালিংকের ডিরেক্টর অব কম্যুনিকেশনস আসিফ আহমেদ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ফোরজি একটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি। ’

বাংলালিংক ১৩ নভেম্বর বিটিআরসি আয়োজিত তরঙ্গ নিলামে অংশ ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। এছাড়াও অপারেটরটি১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। বর্তমানে বাংলালিংকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডে তরঙ্গের পরিমাণ ৩০.৬ মেগাহার্টজ।

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোনে তরঙ্গের পরিমাণও বেশি। তাদের হাতে রয়েছে ৩৭ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মনে করেন, ফোরজি চালু হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষিসহ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি সবার জন্য অ্যাভেলেবল করা আমাদের বড় লক্ষ্য। হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি সব নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করতে চাই। ’

তিনি বলেন, ২৬ শ’ ইউনিয়নে হাইস্পিড ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট নিয়ে যাচ্ছি। ফোরজি এলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষি ও কর্মসংস্থানে একটা আমূল পরিবর্তন আসবে। ফোরজি নেটওয়ার্ক থাকলে আমরা গ্রাম ও শহরে শিক্ষার বৈষম্য ও প্রযুক্তির বৈষম্য দূর করতে পারব। পাশাপাশি কৃষি এবং স্বাস্থ্য এই দুই ক্ষেত্রেও টেলিমেডিসিন বলুন ভিডিও কনফারেন্স বলুন তখন গ্রাম ও শহরে শিক্ষার মান ও বৈষম্য আছে সেটা দূর করতে পারব।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর