হামলায় গ্রেপ্তাররা আ.লীগের: ফখরুল

ফখরুল।

হামলায় গ্রেপ্তাররা আ.লীগের: ফখরুল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে আবারও জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আমরা দেশের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছি আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করি। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি চলে।  

খালেদাকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে চায় বিএনপি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে মিথ্যা সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার। এখন কলাকৌশল আর ছলচাতুরীর মাধ্যমে তার মুক্তিকে বিলম্বিত করছে যাতে তাকে কারাগারে রেখে একদলীয় নির্বাচন করা যায়।

অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন করছেন। সেজন্য তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে।  গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে হবে।

লেখক জাফর ইকবালের উপর হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই তাদের (সরকার) দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন বিএনপি জড়িত। কিন্তু দেখা গেল যাদেরকে ধরা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। তাই আজকে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন এসে যাবে তাহলে কি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হীন উদ্দেশ্য এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, যারা বৈধভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নয় তাদের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। সেজন্যই আমরা পরিষ্কার করে বলি দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সেই সাথে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে বিরোধী দলের সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালীম ডোনার, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন সোহান প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর