খালেদা জিয়ার উৎসব ছিল মানুষ পুড়িয়ে মারা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খালেদা জিয়ার উৎসব ছিল মানুষ পুড়িয়ে মারা: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা করে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যেখানে তিনি (বঙ্গবন্ধু) অন্যায় দেখেছেন, সেখানে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। কী অন্যায় তিনি করেছিলেন? দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আত্মপরিচয় এনে দিয়েছিলেন।

তারপরও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

বুধবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ইপিআরের ওয়ার্লেস থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাংলার মাটি থেকে একটি শত্রু বেঁচে থাকতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। দক্ষিণ এশিয়ায় একটা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে জাতির জনকের নেতৃত্বে।

কিছু মানুষ কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই যুদ্ধাপরাধীরা পাক-হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে বারবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল খালেদা জিয়ার উৎসব ছিল আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা।

এর আগে বেলা তিনটার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

বেলা দুইটার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে লাখো মানুষের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সভাস্থল। মঞ্চে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে নানা জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসব মিছিলে সভা উপলক্ষে তৈরি নানা প্রতিকৃতি, পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেকের হাতে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ছোট আকারের নৌকা শোভা পায় অনেকেরই হাতে। মিছিলের মানুষ অনেকে পরেছেন এক রঙের গেঞ্জি। যুবলীগের কর্মীরা পরেছেন সবুজ রঙের টি-শার্ট। এর কলার লাল রঙের। তাদের মাথায় সবুজ রঙের টুপি। এমন একই রঙের টি-শার্ট যারা পরেছেন, তারা দলবদ্ধ হয়ে বসেছেন সভামঞ্চের সামনে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সভাস্থলে ঢোকার আগে সবারই তল্লাশি চলেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে।

সম্পর্কিত খবর