করোনায় বড় ধাক্কা শিল্প ঋণে, বিতরণ কমেছে ৩৫ শতাংশ

করোনায় বড় ধাক্কা শিল্প ঋণে, বিতরণ কমেছে ৩৫ শতাংশ

সুলতান আহমেদ

করোনায় বড় ধাক্কা লেগেছে শিল্প ঋণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ঋণ বিতরণ কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ, ঋণ বিতরণে আন্তরিকতা কম ব্যাংকের। আবার ছোট বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে বলেও অভিযোগ উদ্যোক্তাদের।

তবে ঋণ বিতরণ বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলো জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এক অদৃশ্য ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সব ব্যবসায়ীক হিসেব। বিশেষ করে ঋণ বিতরণ ও বিনিয়োগে বিশ্বব্যাপী যে ভাটা পড়েছে তা কবে নাগাদ কাটিয়ে উঠা যাবে সেই উত্তরও নেই কারো কাছে। অবশ্য করোনা আসার আগে থেকেই বেসরকারি বিনিয়োগে ঘাটতি ছিলো বাংলাদেশে।

 

বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও ব্যাংক ঋণ নির্ভর। এই বাস্তবতায় করোনা মহামারি বিনিয়োগে তৈরি করছে বাধার দেয়াল। এর ফলে ঘাটতি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতেও। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের হিসেবে চলতি বছরের, জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে মোট শিল্প ঋণ বিতরণ হয়েছে ৭৪,২৫৭ কোটি টাকা। যা তার আগের বছরে ছিলো ১,১৪,৬৮১ কোটি। শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৩৫ শতাংশ কম।

বিকেএমইএ - এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সরল নীতিমালার কারণে যারা মূল ক্ষতিগ্রস্থ তারা ঋণ পায়নি।  

বাস্তবতা আরো কঠিন এসএমই সেক্টরে। সরকার ঘোষিত ২০,০০০ কোটি প্রণোদনার প্যাকেজ মাত্র এক চতুর্থাংশ বিতরণ হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন বৈষম্য হচ্ছে ঋণ বিতরণে।


আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ প্রতিষ্ঠান: দিশেহারা দুই শিক্ষক যে পথ বেছে নিলেন


পাটপণ্য ব্যবসায়ী রাশেদুল করীম মুন্না বলছেন, যারা ব্যাকিং চ্যানেলের সাথে যুক্ত নয় তারাই ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বঞ্চিত হওয়ার তালিকা যত দীর্ঘ হবে উদ্যাক্তাদের হারিয়ে যাওয়ার বিষটিও তত প্রসারিত হবে।

যদিও ব্যাংকাররা বলছেন, শিল্পঋণ বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। বরং ঋণ নিতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি কম বলেও মত তাদের।  

এদিকে শুধু ঋণ বিতরণেই নয়, করোনার সময়ে ঋণ আদায়েও বড় চাপে রয়েছে ব্যাংকগুলো। প্রথম ছয় মাসে আদায় কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

news24bd.tv আহমেদ