আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন

নাটোরে আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হচ্ছে।

আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে একের পর এক তিন ফসলি আবাদি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিনে দিনে এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। উর্বর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষিবিভাগ।

লালপুরের প্রতিটি এলাকাতেই প্রতিবছরেই প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই একাধিক আবাদি জমিতে পুকুর খনন করায় দিন দিন আবাদি জমি কমে যাচ্ছে।

উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ালিয়া উত্তরপাড়া মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন ওয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন (৩৫)। তিনি ওয়ালিয়া গ্রামের মৃত আজের উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি যে জমিতে পুকুর খনন করছেন সেখানে ধান গম আখসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হতো। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী সকল জমিতেই বর্তমানে রসুন, মসুর ও গম আবাদ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে জয়নাল মাস্টার বলেন, আমি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই পুকুর খনন করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সকলকে অবগত করেই আমি পুকুর খনন করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিব বলেন, লালপুরের প্রতিটি এলাকাতেই আবাদি জমিতে পুকুর খনন চোখে পড়ে। বিশেষ করে বিলমাড়িয়া, দুড়দুড়িয়া, লালপুর, দুয়ারিয়া, কদিমচিলান ও ওয়ালিয়াতে বেশি। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে লালপুরে আবাদি জমি একেবারে কমে যাবে। এতে পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটবে। আমরা সবসময় কৃষকদের আবাদি জমিতে পুকুর খননের পরামর্শ দেই না। কিন্তু কিছু অসাধু কৃষক বেশি লাভের আশায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করেন।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আবাদি জমিতে পুকুর খনন কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর