পাইলট আবিদের স্ত্রীর কিডনি ফাংশনও কমে আসছে

ফাইল ছবি

পাইলট আবিদের স্ত্রীর কিডনি ফাংশনও কমে আসছে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তার মস্তিষ্ক ছাড়া অন্য সবকিছু ঠিকমতো কাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার জানালেন, ওনার (আফসানা) কিডনি ফংশনও কিছুটা কমে এসেছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য প্যারামিটারও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

 

বিমান দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন আফসানা। প্রলাপ বকতে থাকেন। কখনও অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। আবিদ তাকে সঙ্গে না নিয়ে একা চলে যেতে পারে না- বার বার শুধু এমন কথাই বলছিলেন।

স্বামীর শোকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রোববার নিজ বাসায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি। গুরুতর অবস্থায় আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয় আফসানাকে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে অ্যান্ড হসপিটালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম সাংবাদিকদের আফসানার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবহিত করেন।

আফসানা ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ কিনা জানতে চাইলে চিকিৎসকরা বলেছেন, তা এখনও সম্পূর্ণভাবে বলা যাবে না। তবে তার পরিস্থিতি অবনতির দিকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই।

তিনি বলেন, আজকের পরিস্থিতি গত কয়েক দিনের তুলনায় খারাপ। বিশেষ করে ওনার কিডনি ফাংশন কিছুটা কমে আসছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য প্যারামিটারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ব্লাড প্রেসারটাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চিকিৎসা চালিয়ে যাব, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্ট নিতে পারেন।

ডা. বদরুল বলেন, কিডনির যে আউটপুট বলি আমরা, সেটি ক্রমান্বয়ে কমছে। ওনার অবস্থা অবনতির দিকে। কিন্তু ভেন্টিলেশন উইথড্র করা বা সব সাপোর্ট উইথড্র করার মতো নয়।  
তবে আফসানাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান এ চিকিৎসক। কারণ যে পরিমাণ ভেন্টিলেশন তার দরকার, সেটি দেওয়া সম্ভব হবে না।

সোমবার কাঠমান্ডু থেকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির সঙ্গে পাইলট আবিদ সুলতানের লাশও দেশে আসে। এদিন বিকেলে অশ্রুসজল একমাত্র সন্তান তানভীর বিন সুলতান যখন বাবার লাশ গ্রহণ করছেন, তখন হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন মা আফসানা। স্বামীর মৃত্যুশোক তাকে দাঁড় করিয়েছে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

সম্পর্কিত খবর