এসকর্ট সাইটে গৃহবধূর ছবিসহ নম্বর, অতঃপর...

ফোন কলে বিরক্ত নারী। প্রতীকী ছবি

এসকর্ট সাইটে গৃহবধূর ছবিসহ নম্বর, অতঃপর...

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

'আমার স্বামী ১৭ দিনের জন্য বাইরে গেছেন, আমি এই ১৭ দিন একা রয়েছি'- এমন বার্তার সঙ্গে ফোন নম্বর ও এক সুন্দরী নারীর ছবি। ফোন করতেই ওপাশ থেকে নারীকণ্ঠে বলেন, 'হ্যালো'। কিন্তু, যে উদ্দেশ্যে ফোন করা তা জানাতেই ক্ষেপে গিয়ে রেখে দেন ফোন। কিন্তু কেন?

অভিযোগ, কেউ একজন ওই নারীর ছবিসহ মোবাইল নম্বর দুটি এসকর্ট ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেয়।

মুহূর্তে নম্বরটি ছড়িয়ে পড়ে মোবাইল থেকে মোবাইলে। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক কল।

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা ওই নারী সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ করেন যে, তাঁর ফোন নম্বর এসকর্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাতদিন তাকে ফোনে বিরক্ত করছেন যৌনকর্মী খুঁজে বেড়ানো মানুষগুলো।

তার কথায়, প্রথম ফোনটি আসে কয়েকদিন আগে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আপত্তিকর  কথাবার্তা! বিব্রত হলেও গায়ে না মেখে কলটি কেটে দেন গৃহবধূ। এরপর আসতে থাকে একের পর এক ফোন। সবাই একই ধরণের কথা বলেন। আপত্তিকর প্রস্তাব দেন। কোন চাহিদা পূরণে কত টাকা দিতে হবে সেসব জিজ্ঞাসা করেন বিপরীত পাশে থাকা পুরুষ কণ্ঠস্বর। খটকা লাগে। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নম্বরের পাশাপাশি ওই গৃহবধূর ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল সাইটে। দুটি এসকর্ট সাইটেও দিয়ে দেওয়া হয় ওই নারীর নম্বর। সেখানে তার ছবি দিয়ে বলা হয়, আমার স্বামী ১৭ দিনের জন্য বাইরে গেছেন, আমি এই ১৭ দিন একা রয়েছি।  

ওই নারীর অভিযোগ, প্রায় ১৫ হাজার ফোন আসে তাঁর কাছে। সেইসঙ্গে প্রচুর অশালীন মেসেজও আসতে থাকে। শুধু ভারতই নয়, বাইরের দেশ থেকেও তাঁর কাছে ফোন আসে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

এর পরেই নড়চড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে নেমে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। সেই কিশোর ওই গৃহবধূর পাড়াতেই থাকে। সে ওই গৃহবধূর নম্বর জোগাড় করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।  

তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেন সে এই কাজ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।