প্রকৃত আলেম ওলামা আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের এক করে ফেললে ভুল করবেন। তাহলে ধর্মেরই ক্ষতি হবে। আমরা এখনো দেখি, কিছু আলেম ওলামা গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত শান্তির বাণী প্রচার করেন। আবার কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী লাখ টাকা নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ওয়াজ করতে যান।
তারা চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া আজগুবি কথাবার্তা বলে। কেউ কেউ নাকি রকেটে চড়ে চাঁদের দেশে যায়। কেউ আবার জাতিকে নতুন করে ভূগোল শেখায়। কাতার থেকে মিশর যাবার পথে নাকি হেলিকপ্টার থেকে হিমালয় দেখা যায়।
জামায়াতে ইসলাম যেমন ইসলাম নয়, তেমনি ইদানিং যারা ইসলামের হেফাজতকারী হিসেবে দাবি করেন তাদের উদ্দেশ্যও ভিন্ন।
আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল রাজনীতিবিদদের মূলধারার মিডিয়াতে আনা উচিত না
ভাস্কর্য ও মূর্তির পার্থক্য নিশ্চয়ই বুঝেন
দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ, পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে
যেমন- ৭১ সালের জামাত-শিবির রাজাকার আলবদররাও এক সময় নিজেদেরকে ইসলাম ধর্মের সোল এজেন্ট দাবি করতো। কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজত ইসলাম ছিল একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। সেই সংগঠনে খেলাফত মজলিশসহ বিএনপি-জামাত জোটের জঙ্গী নেতারা কীভাবে যুক্ত হলো? কোন উদ্দেশ্যে তাদেরকে যুক্ত করে হেফাজতকে বিতর্কিত করা হলো? আর কি কেউ ছিল না? এইভাবে চললে হেফাজতের অবস্থাও একদিন জামাত-শিবিরের মতোই হবে। মনে রাখতে হবে দেশটার নাম বাংলাদেশ, পাকিস্তান- আফগানিস্তান না।
আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
news24bd.tv তৌহিদ