শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তোমরাই আগামীতে দেশ পরিচালনা করবে। তোমরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হবে। দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসবে।
সোমবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তোমাদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি। স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। সেখানে কম্পিউটার ও আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সন্তানের শিক্ষার জন্য এক কোটি ৩০ লাখ মায়ের মোবাইলে টাকা পাঠানো হচ্ছে। তোমরা ঠিকমতো লেখাপড়া করে দেশের ও মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে।
তিনি বলেন, শিশু-কিশোররা যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে অভিভাবকদের সজাগ থাকাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্যই হচ্ছে, বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা। এরইমধ্যে আমরা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নত করে নয়, আমরা মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব।
এর আগে শিশু-কিশোর সমাবেশে লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় সংগীতের পর প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন শিশু-কিশোর সমাবেশের নেতার কাছ থেকে। পরে তিনি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
