ইলিশ মাছের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন সনদ পেল মৎস্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এ সনদ মৎস্য অধিদপ্তরকে প্রদান করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষে এর মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ এ সনদ গ্রহণ করেন।
পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে মৎস্য অধিদফতর রূপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়।
আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হবার দুই মাসের মধ্যে দেশ বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় পৌনে চার লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা হয়, যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।