আল্লাহর নৈকঠ্য লাভের আশায় বান্দা সহিহ শুদ্ধভাবে ইবাদাত করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে নামাজের মধ্যে কোন ছোট খাট বিষয়ের কারণে যেন নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে বাধাগ্রস্থ না হয় সে দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। তবে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলেম ওয়ালামাদের মধ্যে দ্বিমত আছে।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে নামাজে প্রতিটি সূরা তিলয়াতের পূর্বে কি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়তে হবে কি না? না পড়লে নামাজের কোন ক্ষতি হবে কি না?
নামাজের নিয়ত করে আপনি যখন সূরা আল ফাতেহা তিলাওয়াত করবেন, তার পূর্বেই ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়বেন।
আরও পড়ুন:
আজ থেকে দেশব্যাপী করোনার টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু
রাজধানীর যেসব হাসপাতালে দেওয়া হবে করোনার টিকা
করোনাকালে অস্বাভাবিক বেপরোয়া মানুষ; প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে চালের দাম
তবে এই মাসআলার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত থাকলেও বিশুদ্ধ দিক হচ্ছে এটি সূরা ফাতেহার আয়াত। তাই অধিকাংশ তাহকিক মাহকিক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, সূরা ফাতেহার শুরুতেই বিসমিল্লাহ পরেই তার পর শুরু করব। অবশ্য আবু মোহাম্মদ বাক্কি রাহমাতুল্লা আলাইর যে রেওয়াত রয়েছে, সে রেওয়াতের মধ্যে কিন্তু এটাকে আয়াতই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কিন্তু কোনো অপশন নেই যে সূরা ফাতেহার আগে বিসমিল্লাহ পড়বে না, এ ধরনের কোনো অপশন নেই। বাকি অন্য যে সূরাগুলো রয়েছে, সেগুলোর শুরুতেই বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাহ। এটি ওই বিসমিল্লাহ যে লেখা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন লেখার জন্য।
তাই সে ক্ষেত্রে কেউ যদি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে, তাহলে তিনি সুন্নাহ ঘোষণা করলেন। আর যদি না পড়েন, এতেও কোনো অসুবিধা নেই। যেহেতু এটি ওই সূরার আয়াত বা অংশ নয়।
news24bd.tv আহমেদ