পাকিস্তানের কূটনীতিকে হারিয়ে দিয়ে লন্ডনে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বাংলাদেশ মিশন’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের ভিসি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় নবগঠিত বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয় লন্ডন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আমরা যারা বাঙালী ছিলাম সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানের ছাত্র ফেডারেশনের সাথে বিরাট একটি দ্বিমত সৃষ্টি হলো। এরপরই গঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সূচনা হলো। ৭ই মার্চ মনে করেছিলাম স্বাধীনতার ঘোষণা করা হবে। সে অনুসারে আমরাও লন্ডনে একটি সমাবেশ করি। আমরা সেখানে পতাকা উত্তোলন করেছি আমরা সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন
খিলগাঁওয়ে নিরাপত্তাকর্মী হত্যায় জড়িতরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে
কয়েক বছরে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ পাবে দেশ: সালমান এফ রহমান
মেগা প্রকল্পে ভর করে বদলে যাচ্ছে দেশ
মাওলানা মামুনুল হকের অনুসারীদের হামলার ঘটনায় আটক ২২
একাত্তরের ২৮ থেকে ৩১ মার্চ-ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বসে পড়েন তারা। সে সময় ভ্রাম্যমান দূত হিসেবে আবু সাঈদ চৌধুরীকে নিয়োগের পর আমরা বললাম লন্ডনে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস দিতে হবে। এবং এর নাম হবে বাংলাদেশ মিশন। আর এই জন্যই লন্ডনকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়।
দলমত নির্বিশেষে জাতির ঐক্যবদ্ধতার সেই দিনগুলোকে মনে করেন খন্দকার মোশাররফ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কেন গণতন্ত্র কেন বারবার হোঁচট খাচ্ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা কি দিয়ে যাচ্ছি।
বিলেতে তাদের এই সংগ্রাম অনেক সহজ ছিলো, বলেন খন্দকার মোশাররফ। কিন্তু এরচেয়ে কঠিন সংগ্রাম মাঠের যুদ্ধ। সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই এখনও অবহেলিত বলে কিছুটা আক্ষেপও করেন।
news24bd.tv আহমেদ