কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের গোলটেবিল বৈঠকে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কমনওয়েলথ সম্মেলনের তৃতীয় দিনের আলোচ্য বিষয় ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশ্ব বাণিজ্য, এসএমই সহায়তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—এই তিন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তঃসম্পর্কের ওপর জোর দেন তিনি। তুলে ধরেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা।
স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, এশীয় নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এই অঞ্চলকে আরো শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও স্থিতিশীল করতে পারস্পরিক সেতু বন্ধন জেরদার করা আর যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে এই মহাদেশের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি স্থিতিশীলতার মাঝেই এশিয়ার ভবিষ্যৎ নিহিত। এ জন্য আমাদের আন্তঃসম্পর্ক ও যোগাযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মত বিনিময় ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের প্রয়োজন রয়েছে’।
তিনি বলেন, বিপুল জনশক্তি, সবচেয়ে বড় বাজার এবং প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই এশিয়ার আয়ত্তে ছিল বিগত দিনের বিশ্ব এবং আগামী বিশ্বও তাকিয়ে আছে এশিয়ার দিকে। গর্বের বিষয় হচ্ছে যে, এশিয়ার মানুষ সহিষ্ণু, কঠোর পরিশ্রমী, সামর্থবান, প্রতিভাবান ও আশাবাদী। বিগত ৭০ বছরে এশিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিজ্ঞজন এশিয়ার এই সাফল্যকে বিম্ময়কর হিসেবে অভিহিত করেছেন। সত্যিকার এশিয়ার চেতনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, বিশ্ব এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে নিকটতর করছে।