সময়টা ২০১৪। জর্জিয়া। ঠিক যেন আধুনিক সময়ের এক রূপকথা। রূপকথার শুরু একদিন বিকেলে।
তাদেরই একজন তাতুলি, হাঁটতে হাঁটতে তাদের গানের একটি ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে আপলোড করে। আর তাতেই রূপকথার মতোই নাটকীয়ভাবে ঘুরে গেলো তাদের জীবনের মোড়।
সেই গানটিই তাদের এনে দিলো জনপ্রিয়তা।
‘ট্রিও মান্ডিলি’ নামে একটি গ্রুপ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দিন দিন তাদের জনপ্রিয়তা বাড়তেই থাকে। বর্তমানে তাদের ফেসবুক পেজে ১০ লাখেরও বেশি লাইক রয়েছে। বিশ্বজুড়ে রয়েছে তাদের অসংখ্য ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী। রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলও।
তবে তাদের এই ‘ট্রিও মান্ডিলি’ নামটি হঠাৎ করে আসে নি। ট্রিও মান্ডিলি হল জর্জিয়ায় মেয়েদের মাথায় দেয়ার এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ। প্রিয় মানুষের সাথে ঝগড়া হলে তা মিটানোর জন্য মেয়েরা তাদের সামনে মান্ডিলি বা মাথার স্কার্ফ খুলে মাটিতে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুনঃ
সিংহের প্রজনন বন্ধ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা
শপিংয়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরদিন কিনলেন নতুন গাড়ি
সভায় সংলাপ দিয়ে শুধু হাততালিই পেলেন মিঠুন?
উত্তর কোরিয়ায় সস্তায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়: কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডসহ তিন প্রজন্মের শাস্তি
২০১৫ সালে ‘উইথ লাভ’ (With Love) নামে তাদের প্রথম গানের অ্যালবাম মুক্তি পায়। দুই বছর পর এনগুরো (Enguro) নামে তাদের দ্বিতীয় গানের অ্যালবাম বের হয়। এরই মধ্যে বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও রাশিয়ায় তারা বিভিন্ন আমন্ত্রণে গান গেয়েছে।
খুব বেশি বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ছাড়া তিনজন হাঁটতে হাঁটতে গান গায় এবং নিজেরাই তা ধারণ করে। সাধারণত তাদের গানগুলো হয় ট্রাডিশনাল ও ফোক ধরণের।
তবে সম্প্রতি তারা বেশকিছু ভিন্ন ভাষার গানও গেয়েছে।
news24bd.tv / নকিব