‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানজনক ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে একটি নতুন জোট গঠনের তাগিদ দেন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিডনিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সিডনির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের গালা ডিনারের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়ন এবং নারী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সামিট অফ উইমেন’ বাংলাদেশসহ এশীয় প্র্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য এই পুরস্কার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এই ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ যেসব নারী তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন সেসব নারীদের উৎসর্গ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

এ অনুষ্ঠানে নৈশভোজের পর শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে তার সম্পর্কে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানবোধ করছি। আমি বিশ্বব্যাপী নারীদের এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি যারা ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে এই উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড নিতে তিনদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিডনি গিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ম্যালকম টার্নবুলকেও ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা তার চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, প্রথমত নারীর সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত একমুখী ধারণা পরিহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রান্তিক ও ঝুঁকির মুখে থাকা নারীরা এখনও কম খাদ্য পাচ্ছে, স্কুলে যেতে পারছে না, কম মজুরিতে কাজ করছে ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কোনো নারী ও মেয়েকে পেছনে রাখা উচিৎ নয়।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় বিষয় হলো নারীদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

 

সম্পর্কিত খবর