মাদারীপুরে বালিকাবধূ ঘরে আনতে গিয়ে শ্রীঘরে বর

প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে বালিকাবধূ ঘরে আনতে গিয়ে শ্রীঘরে বর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বউ করে ঘরে আনতে গিয়ে শ্রীঘরে জায়গা হলো বরের। একইসঙ্গে কাজীসহ আরও নয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে কাজীর। মাদারীপুরের শিবচরে আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মেয়েটির পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় প্রশাসন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত মেয়েটিকে উদ্ধার করে বর,কাজীসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। কাজীর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবচর পৌর এলাকার গূয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শিবরায়ের কান্দি গ্রামের রং মিস্ত্রির মেয়েকে তার বাড়ির লোকজন বেড়ানোর কথা বলে পৌরসভার ১ ও ৩ নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে  শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান আহমেদ, সহকারী কমিশনার(ভূমি) শরিফুল ইসলাম, এসআই সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কাজী অফিসে অভিযান চালায়।  অভিযানকালে কাজী আবুল হোসেন, বর মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, তার মেঝ ভাই জামাল হোসেন ও  মেয়ের চাচা শুকুর কাজীকে এক মাস করে কারাদণ্ড, মেয়ের ভাই রহিম মিয়া ও  ছেলের মামা আবু বকরকে ১৫ দিন , চাচাতো ভাই টিটু খলিফাকে ১০ দিন, ছেলের চাচা দাদন মুন্সি, দুলাভাই গিয়াস খা, মেয়ের দুলাভাই আরিফ মাদবরকে এক সপ্তাহ করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।  

ওই স্কুলছাত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে বাড়িতে বিয়ের কথা বললে না করেছি। বেড়ানোর কথা বলে আমাকে কাজী অফিসে নিয়ে আসে আমার চাচা।

শিবচর গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  একেএম ফজলুল হক বলেন, বেড়ানোর কথা বলে আমার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ন্যাক্কারজনক। প্রশাসন এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় স্কুলের পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, চলতি বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর ই আলম চৌধুরী শিবচরকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করেছেন। কোন অবস্থাতেই শিবচরে বাল্যবিবাহ হতে দেওয়া হবে না।  
 

সম্পর্কিত খবর