রাজধানীর বনানীতে বাস চাপায় পা হারানো রোজিনা আক্তার মারা গেছেন। রোববার সকাল সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বনানীতে বিআরটিসির বাসে চাপা পড়ে পা হারানোর পরপরই তাকে অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়।
সেখানে তার অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে ২৫ এপ্রিল তাকে ঢামেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটরে তাকে আইসিইউ নেওয়া হয়।২০ এপ্রিল রাত আটটার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৫৭৩৩) বাস রোজিনা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। রোজিনা রাস্তায় পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়।
বনানী থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) শামছুল হক জানিয়েছিলেন, রোজীকে চাপা দেয়া ঘাতক বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১১- ৫৭৩৩) ও এর চালককে আটক করা হয়েছে।
রোজিনা ছয় বোন, এক ভাই ও বৃদ্ধ বাবা-মা নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাতেন। সংসারের খরচের একটি বড় অংশ যোগান দিতেন এই তরুণী। রোজিনার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঘোষগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম রসুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজার মোড়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে এক হাত হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেও মারা যান।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)