আতশবাজি বিস্ফোরণে তিন শিশু আহত

আতশবাজি বিস্ফোরণে তিন শিশু আহত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শরীয়তপুরে কুড়িয়ে পাওয়া আতশবাজি বিস্ফোরণে তিন শিশু আহত হয়েছে। গতকাল শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহতরা হলো- ধানুকা গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে সজিব বেপারী (৮), তার মেয়ে মাহমুদা আক্তার (১১) এবং ফারুক বেপারীর ছেলে তামিম বেপারী (৯)। তারা ধানুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিশলয় কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী।

আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের সঙ্গে শরীয়তপুরেও আতশবাজির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর ধানুকা বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে এ আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা কয়েকটি আতশবাজি কুড়িয়ে পায় শিশু সজিব, তামিম ও মাহমুদা। পরে তারা সেগুলো বাড়িতে নিয়ে যায়।

শুক্রবার বিকেলে আগুনের তাপ দিলে সেই আতশবাজিগুলোর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয় ওই শিশুরা। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব ও তামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, তামিমের ডান চোখ বাঁচানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না।

ঘটনার পরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি কামরুল হাসান সোহেল। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহনের ঘোষণা দেন।

আহত শিশু মাহমুদা আক্তার জানায়, আমরা খেলতে গিয়ে কয়েকটি আতশবাজি পাই। পরে বাড়িতে নিয়ে আগুনের তাপ দিলে সেগুলো ফুটে যায়।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি কামরুল হাসান সোহেল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ঘটনা জানার পরে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে আহত দুইজনকে জেলা প্রশাসনের খরচে ঢাকা পাঠাই। তাদের চিকিৎসার সব খরচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। একজনের চোখে আঘাত লেগেছে। অন্য জনের হাতে লেগেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আতশবাজি বিস্ফোরণে তিন শিশু আহত হওয়ার ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর